শাহাবুদ্দীন আহমেদ
কমলগঞ্জ প্রতিনিধি ঃ
ভোগান্তিতে লাখো গ্রাহক বিদ্যুৎ লাইনে কাজের অজুহাত দেখিয়ে টানা আট ঘন্টা বিদ্যুৎ বিছিন্ন রাখে কর্তৃপক্ষ ।
একইভা লাইনে ত্রুটি দেখিয়ে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দুই ঘন্টা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রাখে এর ফলে কমলগঞ্জের সকল চা বাগানের উৎপাদন প্রকৃয়া বন্ধ থাকায় চা শিল্পের লক্ষ লক্ষ টাকার ক্ষতি সাধন হয়েছে।
মৌলভীবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি কমলগঞ্জ জোনাল অফিস সূত্রে জানা যায়, এই অফিসের অধীনস্থ প্রায় ৯২ হাজার বিদ্যুৎ গ্রাহক রয়েছে।
কমলগঞ্জ উপজেলা ছাড়াও কুলাউড়া ও রাজনগর উপজেলার একাংশ সম্পৃক্ত রয়েছে। পূর্ব কোন ঘোষণা ছাড়াই বুধবার সকাল পৌনে আটটা থেকে বিকাল পৌনে চারটা পর্যন্ত জোনাল অফিসের অধীনস্থ এলাকায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
ফলে হাজার হাজার বিদ্যুৎ গ্রাহক ছাড়াও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, চা বাগান কারখানা, বিভিন্ন ওয়ার্কসপ, হাটবাজারে মিল-কারখানা, ব্যবসা-বাণিজ্য, অফিসিয়েল নানা কাজে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। এক নাগাড়ে গত দু’দিনে প্রায় ১০ ঘন্টা বিদ্যুৎ বিহীন হয়ে পড়ে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে চা কারখানা সমুহে।
তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন. পূর্ব কোন ঘোষণা ছাড় টানা আট ঘন্টা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন আবহাওয়া পরিবর্তনের সাথে সাথে বর্তমানে বিদ্যুৎ আসা যাওয়ার খেলা শুরু হয়েছে।
তারা আরও বলেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দুই ঘন্টারও বেশি সময় বিদ্যুৎ ছিল না। গতকাল বুধবারও টানা আট ঘন্টা বিদ্যুৎ নেই। এসময়ে অফিসে কারণ জানতে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে কেউ ফোন রিসিভ করে নি । এতে ব্যবসা-বাণিজ্য, কলকারখানা ও পড়াশুনায় মারাত্মক ব্যাঘাত ঘটে বলে তারা অভিযোগ করেন।
অভিযোগ বিষয়ে মৌলভীবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি কমলগঞ্জ জোনাল অফিসের ডিজিএম গণেশ চন্দ্র দাশ বলেন, ঠিকাদাররা বিদ্যুৎ লাইনে কাজের জন্যে এ সমস্যার সৃষ্টি হয়।
তবে শ্রীমঙ্গল থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ হওয়ার কথা থাকায় পূর্ব থেকে কোন নোটিশ দেয়া হয়নি। তবে তাৎক্ষণিক সমস্যা হওয়ায় শ্রীমঙ্গল থেকে সরবরাহ সম্ভব হয়নি। ফলে এ সমস্যার সৃষ্টি হয়।