ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়া গ্রামে ২০০১ সালে যাত্রা শুরু করে গিদরী বাউলি ফাউন্ডেশন অব আর্টস।
ঢাকা আর্ট সামিট বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে ৯ দিনব্যাপী গিদরী বাউলি’র পাপেট শো ফ্রেব্রুয়ারি ৭ থেকে ১৫ তারিখ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়। বহুমুখী এই সংগঠনের লক্ষ্য সামাজিক শিল্পচর্চাকে মাধ্যম হিসেবে নিয়ে বিভিন্ন শিল্পী আর গোষ্ঠীর মানুষজনের মধ্যে সাংস্কৃতিক ও শৈল্পিক বিনিময়ের সুযোগ তৈরী করা। প্রতিষ্ঠার পর থেকে সংগঠনটি উন্মুক্ত আকাশের নিচে সমকালীন শিল্পী আর স্থানীয় বিভিন্ন গোষ্ঠীর অংশগ্রহনে বেশ কয়েকটি উল্লেখযোগ্য যৌথ শিল্প কর্মশালার আয়োজন করেছে।
ঢাকা আর্ট সামিটে ‘গিদরী বাউলি শিশু পাপেট থিয়েটার দল’ তাদের পারফর্মেন্স এবং পাপেট শো ‘গল্পটা সবার’ পরিবেশন করে, যা বলে উত্তরপশ্চিমাঞ্চলের একটি প্রত্যন্ত গ্রামের গল্প যেখানে ইতিহাস ও শ্রুতিকাহিনীর সাথে প্রাকৃতিক ও অতিপ্রাকৃত অনুসঙ্গ মিলেমিশে একাকার। চারপাশ থেকে কুড়িয়ে নেয়া বিভিন্ন জিনিষ দিয়ে তৈরি পাপেটগুলোর মাধ্যমে গ্রামীন জীবনের টুকরো টুকরো আখ্যান আশ্রয় করে এই শিশুরা তৈরি করেছে এমন এক রূপকথা, যা তাদের সামাজিক বাস্তব ও কল্পনার অবাস্তবের সীমারেখাকে অস্পষ্ট করে তোলে। এটি তুলে গ্রাম্য শিশু সদস্যরা।
গিদরী বাউলি চিল্ড্রেন্স পাপেট থিয়েটার গ্রুপের সদস্যরা হল – সুমি রানী, বিথী রানী, আশা রানী, তিথী রানী, নয়ন বাবু, অমল বর্মণ, সুনীল বর্মণ। এই শিশুরা সকলেই ঠাকুরগাওয়ের বালিয়া গ্রামের অধিবাসী।
গিদরী বাউলি চিল্ড্রেন্স পাপেট থিয়েটার গ্রুপ ঢাকা আর্ট সামিটে প্রতিদিন ‘গল্পটা সবার’ পারফর্মেন্সটি পরিবেশন করে। এছাড়াও প্রতিদিন এই শিশুরাই দিনের বিভিন্ন সময়ে পাপেট শো পরিবেশন করে। পাপেট শো তৈরিতে দলটির সহযোগি ছিল জলপুতুল পাপেট স্টুডিও। এছাড়াও, শিশু পাপেট দলটি ঢাকার স্কুলের শিশুদের নিয়ে দু’টি পাপেট কর্মশালারও আয়োজন করে।
দক্ষিণ এশীয় শিল্পকর্ম প্রদর্শনী বিষয়ক ও চিত্রকলার সবচেয়ে বড় আয়োজন বলা হয় ‘ঢাকা আর্ট সামিট’কে। যেখানে অংশ নেন দেশ-বিদেশের খ্যাতনামা শিল্পীদের পাশাপাশি উদীয়মান ও প্রতিশ্রুতিশীল শিল্পীরা। এক ছাদের নিচে বিশ্বের নানা প্রান্তের নানা মেজাজ ও শিল্পের নানামাত্রার কাজ দেখার বিরল সুযোগ করে দিতে ২০১২ সাল থেকে আন্তর্জাতিক এই সামিটের আয়োজন করে আসছে সামদানী আর্ট ফাউন্ডেশন।
সামিটে অংশ নেন বাংলাদেশ ছাড়াও ৪৪টি দেশের ৫০০ এর অধিক চিত্রশিল্পী-ভাস্কর, কিউরেটর, শিল্প-সমালোচক, আর্ট প্রফেশনাল, শিল্প সংগ্রাহক, স্থপতি ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব।

নুরে আলম শাহ::ঠাকুরগাঁও: