খেলাধুলা ডেস্ক
দুই দলের বোলার দ্বারা শিকার হলো ১৭ উইকেট। এর মধ্যে স্পিনাররা দখলে করেছে ১২ উইকেট। পেসারদের দখলে বাকি পাঁচটি। এই চিত্রেই দেখা যায় চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের উইকেট কেমন হবে। প্রস্তুতি ম্যাচে স্পিনাররাই সুবিধাভোগ করেছে। মূল ম্যাচেও সেটাই ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে।
আফগানিস্তান-বাংলাদেশের একমাত্র টেস্টে যদি স্পিন সহায়ক হয়, সেক্ষেত্রে স্পিন উইকেটে বেশি সুবিধা পাবে কোন দল?
প্রস্তুতি ম্যাচে বিসিবি একাদশের হয়ে অপস্পিনার আল আমিন ২.৮৩ ইকোনোমি রান রেটে ৪টি উইকেট শিকার করেন।
অন্য দিকে আফগান স্পিনাররা ছিলেন বিসিবির স্পিন থেকে অনেক এগিয়ে। বিসিবি একাদশের প্রথম ইনিংসে ১০ উইকেটের মধ্যে আফগান চায়নাম্যান স্পিনার জহির খান ২.০৯ ইকোনোমি রান রেটে ৫টি ও লেগ স্পিনার রশিদ খান ৩.২৫ ইকোনোমি রান রেটে নেন দুটি উইকেট। ১০ উইকেটের ৮টি নেন স্পিনাররা।
আফগান মূল দল আর বিসিবি স্পিনারদের মধ্যে যোজন-বিয়োজন করা কিছুটা সমুচিত পর্যায়ে পড়ছে না। কারণ, বিসিবি একাদশ তো আর একমাত্র টেস্টে আফগানদের মোকাবেলা করবে না। সেখানে হয়তো সাকিব, মিরাজ, তাইজুলরা থাকবে। ফলও হয়তো ভিন্ন হবে।
তবে তিন দিনের প্রস্তুতি ম্যাচ থেকে এটাই উপলদ্ধি হয়, দু’দলের একমাত্র টেস্ট ম্যাচটি স্পিনারদের যুদ্ধের ম্যাচ। যে দলের স্পিন অ্যাটক যত ধারালো হবে। তারাই এগিয়ে থাকবে।
রশিদ, নবী, জহির এ তিনজনই আফগানদের মূল বোলার। তাদের মোবেলা করাই টাইগার ব্যাটসম্যানদের বড় পরীক্ষা। যদিও আফগানদের টেস্ট খেলার ইতিহাস বেশি দিনের নয়। নতুন একটি দল টেস্ট ক্রিকেটে। তবে তাদের স্পিন অ্যাটাক অনেক শক্তিশালী।
এর মধ্যে রশিদ খান ইতোমধ্যে নিজের সামর্থে্যর প্রমাণও দিয়েছেন বিশ্বজুড়ে। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে স্পিন ভেল্কি দেখিয়ে বোলারদের মধ্যে শীর্ষস্থানে রয়েছেন। দুটি টেস্ট ম্যাচের ক্যারিয়ার তার। দুই টেস্টে নিয়েছেন ৯ উইকেট। মোহাম্মদ নবীও সমানসংখ্যক টেস্ট ম্যাচ খেলে নিয়েছেন ৪ উইকেট।
চায়নাম্যান স্পিনার জহির খানের এখনো টেস্ট ক্যারিয়ারে অভিষেকই হয়নি। তবে সে হতে পারে এই সিরিজের আফগান ট্রাম্পকার্ড।
একমাত্র প্রস্তুতি ম্যাচটি যদিও ড্রয়ের মাঝে শেষ হয়, তবে এই ম্যাচে রাসেল ডোমিঙ্গোর দলকে আগাম বার্তা দিয়ে রাখলো আফগান স্পিন বিভাগ।
বৃহস্পতিবার আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট খেলতে নামবে সাকিব আল হাসানের দল। সেই ম্যাচে রশিদদের নিয়ে ভাবতেই হবে তাদের। নয় তো টেস্টে নবাগত দলটি বিপদে ফেলে দিতে পারে টাইগারদের।
জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে মাঠে নামার আগে বাংলাদেশ দলের ব্যাটম্যানদের চিন্তায় অবশ্যই থাকবে আফগান স্পিন।
তা সামলাতে না পারলে বিপদে পড়তে হবে। যদিও বলা হচ্ছে স্পিন নয়, পেস সহায়ক উইকেট হবে সাগরিকাতে। এরপরও আফগার স্পিন নিয়ে ভাবতেই হবে টাইগার ব্যাটসম্যানদের। টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের সেরা পারফর্মার তামিমহীন সাদমান, মুমিন, সাকিব, মুশফিকদের।