মাসুদ রানা, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ
উত্তরের জেলা ঠাকুরগাঁওয়ে সরকারি ও বেসরকারি পাট ক্রয় কেন্দ্র না থাকায় ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন পাটচাষীরা। ন্যায্য মূল্য না পাওয়ায় হতাশায় দিন পার করতেছে পাঠচাষীরা। পাট ক্রয় কেন্দ্র না থাকায় একশ্রেণির ফড়িয়া ও পাট ব্যবসায়ীরা কৃষকদের কাছ থেকে অল্প দামে পাট কিনে মজুদ করছে। এ জনপদের কৃষকরা সাম্প্রতিক বন্যার ধকল কাটাতে অর্থের অভাবে অল্প মূল্যে পাট বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে উপজেলায় ২ হাজার ৮৪৫ হেক্টর জমিতে পাট চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও ২ হাজার ৬৭৫ হেক্টর জমিতে পাট চাষ করা হয়। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ২০ হাজার ৩৭৫ মন পাট। উপজেলায় পাট ক্রয়কেন্দ্র না থাকায় সরকারের বেঁধে দেওয়া মুল্যে পাট বিক্রি করতে পারছেন না চাষীরা। চাষীদের আর্থিক সচ্ছলতা না থাকায় প্রতি মণ পাট ব্যবসায়ীদের কাছে ১৩০০ থেকে ১৪০০ টাকায় বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন। ফলে মধ্যস্বত্বভোগীরা লাভের মুখ দেখছে। আর ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন পাট চাষীরা। চাষীদের দাবি সরকারিভাবে উপজেলায় পাট ক্রয় কেন্দ্র খোলা হলে তারা লাভবান হবেন এবং ন্যায্য মূল্য পাবেন। সদর উপজেলার ভুল্লী গ্রামের পাটচাষী আব্দুস সালাম জানান, তিনি চলতি মৌসুমে ৩ একর জমিতে পাট চাষ করেছিলেন। বন্যার পানিতে ডুবে যাওয়ায় পরিপক্ক না হলেও পাট কেটে জাগ দিতে হয়েছে। পাট কাটা থেকে শুরু করে শুকানো পর্যস্ত মন প্রতি ১০০০ থেকে ১৩০০ টাকা খরচ হয়েছে। সরকারিভাবে উপজলায় পাট ক্রয় কেন্দ্র খোলা হলে চাষীরা লাভবান হতেন। একই কথা জানালেন ওই গ্রামের আসাদ আলী, সুজন আলীসহ অনেক কৃষক। স্থানীয় পাট ব্যবসায়ী শাজাহান,মিরাজুল ইসলাম আমাদের প্রতিনিধি জানান, পাটের গুণগত মানের ওপর ১ হাজার থেকে ১৫ শত টাকায় প্রতিমন পাট কেনাবেচা হচ্ছে। তবে অনেক কৃষক পাটখড়ি বিক্রি করে লাভবান হওয়ার আশা করছেন। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়,চাষীদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তারপরও চাষীরা সনাতন পদ্ধতিতে পাট জাগ দেওয়ায় পাটের রং কিছুটা নষ্ট হয়ে যায়।আবার বর্তমানে নদী গুলোতে পানি না থাকায় বিপাকে পড়েছেন চাষীরা। তবে সরকারিভাবে ক্রয় কেন্দ্র খোলা হলে চাষীরা ন্যায্যমূল্য পেতেন। চাষীদের দাবি অতিদ্রুত সরকারি ভাবে পাট ক্রয় কেন্দ্র খোলা হোক।