তারেকুর রহমান টেকনাফ ।
ফলোআপ নিউজ
টেকনাফে পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে যুবলীগ নেতা ওমর হত্যা মামলার আরেক আসামী নিহত হয়েছে।
জানা যায়, আহত যুবলীগ নেতা ওমর ফারুক হত্যা মামলার আসামীকে নিয়ে পুলিশের অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযানে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের সাথে বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটেছে। এতে পুলিশের এসআই সাব্বিরসহ ৩জন পুলিশ সদস্য আহত হলেও ঘটনাস্থল হতে অস্ত্র,বুলেট ও খোসাসহ গুলিবিদ্ধ এক ব্যক্তিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে।
জানা যায়, ২৬ আগষ্ট (সোমবার) টেকনাফ থানার একদল পুলিশ হ্নীলা ৯নং ওয়ার্ড যুবলীগ সভাপতি মোঃ ওমর ফারুক (৩০) হত্যা মামলার ধৃত এক সন্ত্রাসীর স্বীকারোক্তিতে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের জন্য শালবাগান ক্যাম্প সংলগ্ন রোহিঙ্গা পাহাড়ী বস্তিতে অভিযানে গেলে রোহিঙ্গা স্বশস্ত্র সন্ত্রাসীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করে। এতে এসআই সাব্বির আহমদ (৩০), কনস্টেবল লিটন (২১) এবং বাহার আহত হলেও পুলিশও আতœরক্ষার্থে পাল্টা গুলিবর্ষণ করে। কিছুক্ষণ পর ঘটনা তেমন গেলে, ঘটনাস্থল তল্লাশী করে এলজি, তাজা কার্তুজ ও কার্তুজের খোসাসহ গুলিবিদ্ধ নয়াপাড়া শরণার্থী ক্যাম্পের ডি ব্ললকের মোঃ আমিরুল ইসলামের পুত্র মোঃ হাসান (২০) কে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে। গুলিবিদ্ধ ও আহতদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য টেকনাফ উপজেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে। সেখানে আহত পুলিশ সদস্যদের চিকিৎসা দিয়ে আরো উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে রেফার করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়। তার মৃত দেহ পোস্টমর্টেমের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য,গত বৃহস্পতিবার রাত ১১টারদিকে হ্নীলা জাদিমোরায় শালবাগান ক্যাম্পের রোহিঙ্গা উগ্রপন্থী সংগঠনের স্বশস্ত্র সন্ত্রাসী ডাকাত সেলিম, জকির, সালমান শাহসহ ১০/১২ জনের গ্রæপ স্থানীয় জমিদার আব্দুল মোনাফ কোম্পানীর ছেলে, জাদিমোরা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি এবং হ্নীলা ইউনিয়ন ৯নং ওয়ার্ড যুবলীগ সভাপতি মোঃ ওমর ফারুক (৩০) কে গুলি করে খুন করে।
এই ব্যাপারে টেকনাফ থানা থেকে এখনো কিছু জানা যায় নি।