মোঃ বুলবুল খান পলাশ, ধামরাই (ঢাকা) প্রতিনিধিঃ
ঢাকা আরিচা মহাসড়কের ধামরাইয়ের কালামপুর বাস স্ট্যান্ডে মহাসড়ক দখল করে কাঁচা বাজার বসিয়ে লক্ষাধিক টাকা চাঁদা আদায় করছে স্থানীয় প্রভাবশালী একটি মহল। এতে দূর্ভোগে পড়েছে দুরদুরান্ত থেকে আসা যাত্রীরা।এছাড়াও কালামপুর বাস স্ট্যাডের লোকাল লেন ও কালামপুর-সাটুরিয়া আঞ্চলিক সড়কের প্রবেশদ্বারের বাম পাশে মহাসড়কে রয়েছে দুই শতাধিক অবৈধ দোকান। যা স্থানীয় প্রভাবশালীদের দখলে। এসব সড়ক গুলোতে ভ্যান বসিয়ে বিক্রি করা হয় নানা ধরনের পণ্য।এতে এলাকাবাসিও দুরদূরান্তের যাত্রীরা চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। দোকান গুলোর কারণে শিল্প প্রতিষ্ঠানের মালামালের গাড়ি, ব্যক্তিগত গাড়ি, মুমূর্ষু রোগী বহনকারী অ্যাম্বুলেন্স চলাচলে মারাত্মক প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হচ্ছে। এ নিয়ে প্রায়ই গাড়ি চালকও পথচারীদে সাথে এবং দোকানদার দের অপ্রতিকর ঘটনা ঘটছে । এমনকি হামলার ঘটনাও ঘটছে।সড়কটিতে বসানো প্রতি দোকান থেকে দিনে ২০ টাকা থেকেশুরু করে ২০০টাকা চাঁদা আদায় করছে ওই প্রভাবশালী মহল। এতে মাসে ৪ লক্ষাধিক টাকা চাঁদা আদায় করা হয় বলে জানাযায়। ৪-৫ বছর ধরে এখানে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা বাজার থেকে এভাবেই চাঁদাবাজি হচ্ছে বলে সুত্র জানায়।অনুসন্ধানে জানাযায়, নফা মিয়া নামে এক ব্যক্তি ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে এক বছর ধরে চাঁদা তুলছে। এর আগে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ব্যক্তি চাঁদা তুলত। এসব দোকানপাট থেকে যে চাঁদা উঠছে তার বেশির ভাগ টাকা যাচ্ছে হাইওয়ে পুলিশ এবং স্থানীয় প্রভাবশালী কতিপয় রাজনীতিবিদ ও সরকারি কর্মকর্তাদের পকেটে। স্থানীয় চাষিরা জানান, আমরা শাক সবজি বিক্রি করতে এখানে আসি। মাল কম থাকলে ২০ টাকা বেশি হলে ৫০-১০০টাকা খাজনা গুনতে হয়। ভ্যানে করে যারা মালামাল বিক্রি করেন তারা বলেন ভ্যান প্রতি ১০০ টাকা,চটপটি ফুসকা বিক্রেতা দেন মাসে ৭০০০ হাজার টাকা,মাছ বিক্রেতারা দেন প্রতিদিন ৩০০ টাকা এবংস্হায়ীভাবে যারা সড়কে বড় করে দোকান করেন তারা দেন প্রতিদিন ৩০০টাকা। আর এসব দোকানদারের কাছথেকে খাজনা নামে চাঁদা তুলেন নফা ভাই। নফা মিয়ার সাথে কথা বলে জানাযায়, তিনি আমাদেরকে কাছে টাকা তুলার কথা স্বীকার করে বলেন সব টাকা আমি ওয়াদুদ নামের এক নেতার কাছে দেই’ তিনি আরো বলেন বাজার পরিস্কারও পাহারাদারদের এই টাকা থেকে বেতন দেওয়া হয়। তবে ওয়াদুদ নামের ওই ব্যক্তির কোথাও খোজ পাওয়া যায়নি। এবিষয়ে গোলড়া হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ মাসুুদ খান বলেন, প্রতিদিন আমরা অভিযান চালিয়ে বাজার ভেঙ্গে দিচ্ছি। আমাদের টিম চলে আসার পর আবার দোকান বসে। খাজনার টাকার ব্যপারে আমি কিছুই জানিনা।
