মোঃ বুলবুল খান পলাশ, ধামরাই (ঢাকা) প্রতিনিধিঃ
ঢাকার ধামরাইয়ে অসহনীয় পরিবেশ সৃষ্টি করে সড়ক দখল করে অবৈধভাবে পার্কিং করে রাখা হচ্ছে বাস, ট্রাক, সিএনজিচালিত অটোরিকশা। ফলে সৃষ্টি হচ্ছে তীব্র যানজট। নষ্ট হচ্ছে কর্মঘণ্টা, ক্ষতি হচ্ছে দেশের অর্থনীতির। অবস্থাদৃষ্টে মনে হয়, এই অবৈধ পার্কিং দেখার কেউ নেই। যাদের এ সমস্যা সমাধানের কথা তারা সবাই যেন নাকে তেল দিয়ে ঘুমাচ্ছেন।
ধামরাই উপজেলার জয়পুরা বাসস্ট্যান্ড ও ঢুলিভিটা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় সাময়িক ভাবে ফুটপাথ অবৈধ দখলমুক্ত হলেও বন্ধ হয়নি অবৈধ পার্কিং। নো-পার্কিং জোনে আরিচা মহাসড়ক উপরে অহরহ গাড়ি রেখে রাস্তা দখল করা হচ্ছে। যার ফলে সৃষ্টি হচ্ছে যানজট। কিছুদিন আগেও ব্যস্ততম এ ঢুলিভিটা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ফুটপাতের সড়ক ছিল অবৈধ দখলে। তাছাড়া অবৈধ পার্কিংয়ের কারণে প্রায় সারাক্ষণই যানজট লেগে থাকতো। সম্প্রতি উপজেলা প্রশাসনের কঠোর হস্তক্ষেপে সড়ক দুটির ফুটপাথ থেকে অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করা হয়। সেইসঙ্গে রাস্তার দুপাশ প্রশস্তকরণের মধ্যদিয়ে যানজটের মাত্রা অনেকটাই কমে আসে। কিন্তু সড়কে অবৈধভাবে গার্মেন্টসের বাস পার্কিংয়ের কারণে পুরোপুরি যানজট মুক্ত হয়নি।সরেজমিন দেখা যায়, ব্যস্ততম এ সড়ক দিয়ে দূরপাল্লার শত শত গাড়ি চলাচল করছে। যানজট নিরসনের লক্ষ্যে রাস্তার বিভিন্ন পয়েন্টে ‘নো পার্কিং’ সাইনবোর্ড টাঙিয়ে কোন লাভ হচ্ছে না, তা অমান্য করে রাস্তার উভয় পাশে অবৈধভাবে গাড়ি পার্ক করে রাখা হয়। তবে পুলিশ প্রশাসনকে এ অবৈধ পার্কিং বন্ধে কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি। স্থানীয়দের অভিযোগ,যানজট নিরসনে কর্তব্যরত হাইওয়ে পুলিশের সদস্যরা এসব গাড়ি থেকে নিয়মিত মাসোহারা নেয়। যে কারণে নো পার্কিং জোনকে রীতিমতো গাড়ির স্ট্যান্ড বানিয়েছে চালকেরা। এতে করে গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কে প্রায় প্রতিদিন দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।
এ বিষয়ে নিরাপদ সড়ক চাই এর ধামরাই শাখার সভাপতি এম .নাহিদ মিয়া জানান, আমরা প্রতিনিয়ত চেষ্টা করে যাচ্ছি সড়কেশৃঙ্খলা ফেরানোর জন্য। ঢাকা আরিচা মহাসড়কে বিভিন্ন বাস স্ট্যান্ডে দেখা যায় দিনে এবং রাতে সড়কের উপরে মালবাহী ট্রাক,বাস সহ ছোট বড় অনেক যানবাহন পার্কিং করে রাখেন। এর ফলে সড়কে দখল হয়ে যায় স্বাভাবিক ভাবে গাড়ি চলা চলে ব্যহত হয়।উক্ত বিষয়ে হাইওয়ে পুলিশেরসাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তেমন পর্যবেক্ষণ আমাদের নজরে পড়েনি।এ ব্যাপারে বিষয়ে সাভার হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আতিকুর রহমানের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।