মোঃ বাসার মৃধা, স্টাফ রিপোটার, বরিশাল
বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলার নিয়ামতি ইউনিয়নের চামটা-উপ -স্বাস্থ্য কেন্দ্রে রোগীকে চিকিৎসা না দেয়ায় মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে।
৪ জুলাই ভোর ৬ টায় পশ্চিম কৃষ্ণনগর গ্রামের মৃত আব্দুল সত্তার সিকদারের স্ত্রী রেমী বেগম( ৫০) কে নিয়ামতি ইউনিয়নের চামটা- উপ – স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসে। রোগী নিয়ে ক্লিনিকের সামনে প্রায় ২ ঘন্টা দারিয়ে থেকেও রোগীর চিকিৎসা দিতে না পারায় রোগীর মৃত্যু হয়।
ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে হানিফ সিকদার, সাংবাদিকদের জানান, আমার ফুপু রাত ৩ টায় ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়। তার চিকিৎসার জন্য সকাল ৬ টায় চামটা- উপ – স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে আসি। অথচ উপ- সাস্থ্য কেন্দ্রের প্রধান গেট তালা দেয়া থাকে অনেক ডাকাডাকি করেও ডাঃ এর দেখা মেলেনি। চিকিৎসার দায়িত্বে থাকা স্যাকমো ডাঃ প্রশান্ত কুমার দোতলা থেকে জানায় সকাল ১০ টার আগে আমি চিকিৎসা দিতে পারব না। দুই ঘন্টা দাঁড়িয়ে থেকে রোগীর চিকিৎসা না করাতে পেরে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়ার পথে রোগীর মৃত্যু হয়। চিকিৎসার অবহেলায় আমাদের রোগীর মৃত্যু হয়েছে। ডাঃ প্রশান্ত কুমারের বিচার চাই।
নিয়ামতি ইউপি চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির জানান, প্রায় ২ বছর যাবত স্যাকমো প্রশান্ত কুমার ক্লিনিকে চিকিৎসা দিয়ে আসছে। তার বিরুদ্ধে আমার পরিষদে একাধিক ব্যক্তি অভিযোগ করেছে। ইউনিয়ন বাসির সুচিকিৎসার জন্য প্রশান্ত কুমার কে বদলি করে অন্য একজন ভালো চিকিৎস দেয়ার দাবি রাখেন তিনি।
স্থানীয়রা জানান, স্যাকমো ডাঃ প্রশান্ত কুমার ক্লিনিকে চিকিৎসার নামে অপচিকিৎসা দিয়ে আসছে দীর্ঘদিন যাবত। প্রত্যেকটা ক্লিনিকে স্যাকমো দ্বারা চিকিৎসা দেয়া হয়। উপজেলার উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র গুলোতে এমবিবিএস ডাক্তার নিয়োগ থাকলেও তারা কখনও এই উপ- সাস্থ্য কেন্দ্রে এ আসেন না। স্যাকমো ডাঃ দিয়েই চিকিৎসার নামে অপচিকিৎসা রোগীদের হয়রানির ও রোগী মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে প্রতিদিন।
বাকেরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ শংকর কুমার অধিকারী জানান, উপজেলার ক্লিনিকগুলোর দেখার দায়িত্ব ইউনুস আলী পিন্টুকে দিয়েছি। চামটা- উপ – স্বাস্থ্য কেন্দ্রে রোগীর চিকিৎসা না দেয়ায় মৃত্যুর ঘটনায় পিন্টুকে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আপাতত ওই উপ- স্বাস্হ্য কেন্দ্রে একজন মেডিকেল অফিসার দেয়া হবে।