ষ্টাপ রির্পোটারঃ
দেশের শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন ব্যবস্থায় বড় রকমের পরিবর্তন এনে প্রণয়ন করা প্রাক্-প্রাথমিক থেকে উচ্চমাধ্যমিক স্তরের নতুন শিক্ষাক্রমের রূপরেখার আনুষ্ঠানিক অনুমোদন দেয়া হয়। সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এ বছর পরীক্ষামূলকভাবে বাস্তবায়ন শেষে আগামী বছর থেকে বিভিন্ন শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম পর্যায়ক্রমে চালু হবে।
তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত কোনো পরীক্ষা না রাখা, দশম শ্রেণি পর্যন্ত অভিন্ন সিলেবাস- বিভাজন একাদশ শ্রেণিতে, দশম শ্রেণির আগে কোন পাবলিক পরিক্ষা নেই,একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণিতে দুটি পাবলিক পরীক্ষা সহ এমন বেশকিছু পরিবর্তন আনা হবে।
তবে এই শিক্ষানীতি ঘিরে নতুন শিক্ষাক্রমে ধর্মশিক্ষা বাদ দেয়া হয়েছে এমন একটি তথ্য ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। তবে ধর্ম শিক্ষা বাদ দেয়ার এই দাবিটি সত্য নয়।
ধর্ম শিক্ষা বাদ দেয়া হচ্ছে এই বিষয়টি কিভাবে আসলো?
আমার মনে হয়েছি এই বিষয়টি এসেছে মিসকনসেপশনের কারণে। গত ৩০ মে “শিক্ষায় বড় পরিবর্তন, শিক্ষাক্রমের রূপরেখা অনুমোদন” শিরোনামে প্রথম আলোতে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনের একটি অংশ ভুল ব্যাখ্যা করার কারণে এই বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে বলে ধারণা করছি।
কিছু পত্রিকায় রিপোট/ প্রতিবেদে উল্লেখ করা হয়-
নতুন শিক্ষাক্রমে প্রাক্-প্রাথমিক থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত ১০ ধরনের শেখার ক্ষেত্র ঠিক করা হয়েছে। এগুলো হলো ভাষা ও যোগাযোগ, গণিত ও যুক্তি, জীবন ও জীবিকা, সমাজ ও বিশ্ব নাগরিকত্ব, পরিবেশ ও জলবায়ু, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি, শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য এবং সুরক্ষা, মূল্যবোধ ও নৈতিকতা এবং শিল্প ও সংস্কৃতি।
এই দশটির মধ্যে ধর্ম শিক্ষা না থাকায় এবং মূল্যবোধ ও নৈতিকতা নাম থাকায় অনেকে মনে করছে ধর্ম শিক্ষা বাদ দিয়ে জেনারেলাইজ করে মূল্যবোধ ও নৈতিকতা নামে নতুন বই দেয়া হবে। তবে এই ধারণা সঠিক নয়। প্রথমত এখানে উল্লেখিত সব বিষয়গুলো কোন সাবজেক্ট বা বইয়ের নাম নয়, এগুলো শেখার ক্ষেত্র। কোন কোন ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের শেখানো হবে সেই তালিকা এটি। যখন একটা ক্ষেত্রের আওতায় একটা সাবজেক্ট থাকবে তখন সেই ক্ষেত্রের নামেই সেই বই আসতে পারে। কিন্ত ধর্ম শিক্ষার মাঝে একাধিক ধর্ম আছে, আবার যেহেতু ১ম থেকে তৃতীয় সাধারণ তিনটি বই থাকে, ধর্ম শিক্ষা থাকে না। সেক্ষেত্রে তাদের বাংলা/ইংরেজি বইয়ে নৈতিকতা ও মূল্যবোধ শেখানোর জন্য কিছু পাঠ রাখা হয়।