ফাহাদ আহমেদ মিঠু (সি আর):
নারায়ণগঞ্জ শহরের কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল সংলগ্ন ১ নম্বর রেল গেট এলাকায় গতকাল সন্ধ্যায় যানজটে আটকে পড়া বাসে ট্রেনের ধাক্কায় ঘটনাস্থলে দুজনসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। সাতজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে শিশুর বিচ্ছিন্ন পা উদ্ধার করা হয়। পরে ওই শিশু ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যায়। ১০০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, দুর্ঘটনায় ১০ জন হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য আসেন। তাদের মধ্যে সাতজনের নাম পাওয়া গেছে। তারা হলেন- নুরু (৪০). কাদের মোল্লা (৩৫). মেজান মিয়া (৬৫). মনা, মনির (২৬). শাকিল (১২). আমেনা বেগম (৩৫)। নাম না জানা আরও তিনজন এই হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ডাক্তার সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, একটি শিশুসহ সাতজনকে হাসপাতালে আনা হয়েছে। গুরুতর অবস্থায় তিনজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং একজনকে জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (নিটোর) পাঠানো হয়েছে। নারায়ণগঞ্জ সদর জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ফরহাদ জানান, গুরুতর আহত চারজনকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করা হয়েছে। নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি শাহ জামান বলেন, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা ট্রেনটি নারায়ণগঞ্জ স্টেশনের দিকে যাচ্ছিল। এসময় স্টেশনের অদূরে শহরের ১ নম্বর রেল গেট এলাকায় যানজটের কারণে লেভেল ক্রসিংয়ে দাড়িয়ে থাকা ‘আনন্দ পরিবহনের’ একটি বাসকে ধাক্কা দেয় ট্রেনটি। এতে বাসটি ২০ থেকে ২৫ গজ দূরে ছিটকে পড়ে দুমড়েমুচড়ে যায়। ওই সময় দুজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। আহতদের হাসপাতালে পাঠানো হয়। নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আরেফিন বলেন, দুজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। একজনের একটি পা উদ্ধার করা হয়েছে। পাঁচজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া জানান, মৃত শিশুটির নাম- পরিচয় জানা যায়নি।বয়স আনুমানিক ১০ বছর। তার মৃতদেহ মর্গে রাখা হয়েছে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মেডিকেল অফিসার ডা. তুহিন জানান, শিশুটির বাম পা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল। চিকিৎসাধীন তার মৃত্যু হয়েছে।