রগুনায় চতুর্থ শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের ঘটনায় থানায় অভিযোগ করেছে নির্যাতিতার পরিবার। বর্তমানে মেয়েটি সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এদিকে অভিযুক্ত ও তার সহযোগীদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। নির্যাতিত মেয়েটি ও তার স্বজনরা বুধবার বিকেলে বরগুনার কোর্টবাড়িয়া এলাকায় ফুফুর বাড়ি থেকে ফিরছিলো সে। এসময় একটি মোটর সাইকেলে সজীব ও তার সহযোগী মেয়েটিকে তুলে নিয়ে যায়। পরে আইলা এলাকায় বখাটে সজীবের বাড়িতে একটি মাছের ঘেরের পরিত্যক্ত ঘরে তাকে আটকে রেখে ধর্ষণ করে সজীব।
রাতে বাসায় না ফেরায় সকালৈ স্বজনরা খুঁজতে গেলে বেলা এগারোটার দিকে মেয়েটিকে ছেড়ে দিয়ে পালিয়ে যায় সজীব। এদিকে এলাকাবাসী বলছে সজীব এলাকার নানা অপকর্মে জড়িত। আর এ ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চান তারা। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় চিকিৎসার জন্য বরগুনার কমিউনিটি হাসপাতালে মেয়েটিকে আনা হয়। তবে তার শারীরিক অবস্থা ভালো না বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।
বরগুনা কমিউনিটি মেডিকেলের উপ সহকারি অফিসার মো. আব্দুর রহমান বলেন, ‘১২ বছরের একটা মেয়েকে আমাদের এখানে নিয়ে এসেছে। আমরা এখানে পরীক্ষা নীরিক্ষার জন্য উপরে পাঠিয়ে ভর্তি করে দিলাম। মেয়ার শারীরিক অবস্থা আসলে দুর্বল, অনেক দুর্বল। অভিযোগের সঙ্গে সঙ্গেই আসামীদের ধরতে মাঠে নেমে পড়েছে পুলিশ। বরগুনা সদর থানার অফিসার ইনচার্য এস এম মাসুদুজ্জামান মাসুদ বলেন, ‘অলরেডি যে আসামী, তাকে গ্রেফতার করার জন্য ফোর্স সেখানে পাঠিয়ে দিয়েছি।
অভিযুক্ত সজীব ফারাজীর বিরুদ্ধে মাদক, ছিনতাইসহ একাধিক মামলা রয়েছে।