প্রধান বিচারপতি হলেন আপিল বিভাগের বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন। বঙ্গভবনের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, রাষ্ট্রপতি তাকে ২২তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেন। এদিকে, নিয়োগে জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘন হয়েছে বলে কোন কোন আইনজীবী সমালোচনা করলেও অ্যাটর্নি জেনারেল বলছেন, এতে আইনের কোনো ব্যত্যয় হয়নি। শনিবার সন্ধ্যা সাতটায় বঙ্গভবনে নতুন প্রধান বিচারপতি শপথ নেবেন।প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহার পদত্যাগের ২ মাস ২২ দিন খালি থাকার পর শুক্রবার নতুন প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনকে। শনিবার সন্ধ্যায় প্রধান বিচারপতিকে শপথ পড়াবেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ।
দীর্ঘদিন শূন্য থাকার পর প্রধান বিচারপতি নিয়োগ দেয়ার স্বস্তি প্রকাশ করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। তিনি বলেন, আমাদের দেশে এর আগেও এরকম হয়েছে, জ্যেষ্ঠতম বিচারপতিকে প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়নি। ভারতেও এরকম হয়েছে। প্রধান বিচারপতি হিসেবে তার দক্ষতার কোনো অভাব হবে না। এতে কারও কোনো রকম অসন্তুষ্ট হওয়ার দরকার নেই।
এর আগেও সাতবার প্রধান বিচারপতি নিয়োগের ক্ষেত্রে জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘন হয়েছিল। তবে জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতেই যে প্রধান বিচারপতি নিয়োগ দিতে হবে; এমন কোনো বাধ্যবাধকতা সংবিধানে নেই। বিচারপতি নিয়োগে নির্দিষ্ট কোনো আইন থাকলে এ সমস্যার সমাধান হতো বলে উল্লেখ করে শাহদীন মালিক বলেন, আমি মনে করি যিনিই প্রধান বিচারপতি হবেন, তিনি সরকারকে মনে করিয়ে দিবেন যে আইন ছাড়া প্রধান বিচারপতি নিয়োগ দেয়া সঠিক হয় না।
নতুন নিয়োগ পাওয়া প্রধান বিচারপতির মেয়াদ হবে ২০২১ সালের ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত।