পঞ্চগড় প্রতিনিধিঃ
কয়েকদিন ধরে থেমে থেমে ভারী বৃষ্টিপাত আর উজানের ঢল নেমে ভেঙে গেছে পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলার বুড়িতিস্তা নদীর রাঙ্গাপানি সেতুর দুই পাশের সংযোগ সড়ক। সেতুটির অবস্থান দেবীগঞ্জ উপজেলার দেবীগঞ্জ সদর ইউনিয়নের খয়েরবাগান এলাকায়। হঠাৎ করে সংযোগ সড়ক ভেঙে যাওয়ায় দেবীগঞ্জ-ভাউলাগঞ্জ আঞ্চলিক সড়ক ধরে যাতায়াতকারী লাখ লাখ মানুষ দুর্ভোগে পড়েছেন।
একই সাথে দেবীগঞ্জ উপজেলার সদরের সাথে ট্রেপীগন্জ ও চিলাহাটি ইউনিয়ন এবং ভাউলাগঞ্জসহ বেশ কয়েকটি এলাকার মানুষের যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। জরুরি প্রয়োজনে দেবীগঞ্জ যেতে তাদের এখন ১৫ কিলোমিটার ঘুরে পার্শ্ববর্তী ডোমার ইউনিয়নের মির্জাগঞ্জ দিয়ে যেতে হচ্ছে। নদীতে প্রবল স্রোত থাকায় শিগগিরই সংযোগ সড়ক মেরামত করার সুযোগ নেই বলে জানিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।
স্থানীয়রা জানায়, গত কয়েক দিনের বৃষ্টিপাত আর উজানের ঢলে বুড়িতিস্তা নদীতে পানি বাড়তে থাকে। ২ জুলাই বৃহস্পতিবার ভোরে নদীর পানির প্রবল স্রোতে ভেঙে যায় দেবীগঞ্জ-ভাউলাগঞ্জ সড়কের বুড়িতিস্তা নদীর উপরের রাঙাপানি সেতুর সংযোগ সড়কটি। সেতু থেকে সড়কের প্রায় ৩০ থেকে ৪০ মিটার ভেঙে গেছে। এতে দেবীগঞ্জ থেকে ভাউলাগঞ্জ, চিলাহাটি, টেপ্রিগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকার সাথে সড়ক পথে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। দুর্ভোগে পড়েন ওই সড়ক ধরে যাতায়াতকারী লাখ লাখ মানুষ।
টেপ্রিগঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ গোলাম রহমান সরকার বলেন, রাঙাপানি সেতুর দুই পাশের সংযোগ সড়ক ভেঙে গেছে। পূর্ব পার্শ্বের ১০০ ফুট ও পশ্চিম পার্শ্বের ৫০ ফুট ভেঙে গেছে। এতে সেতুর এপারের কয়েকটি ইউনিয়নের লাখ লাখ মানুষের যাতায়াত বন্ধ হয়ে গেছে। দেবীগঞ্জ উপজেলা সদরে যেতে হলে আমাদের ১৫ কিলোমিটার এখন ঘুরে যেতে হচ্ছে। এ ছাড়া কয়েকদিনের বৃষ্টিপাত আর উজানের ঢলে আমার ইউনিয়নে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে ১০ হাজার মানুষ।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের দেবীগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী মমিনুল ইসলাম বলেন, সেতুটির দুই পাশের সংযোগ সড়ক ভেঙে যাওয়ায় সেতুটিও এখন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে গেছে। আমরা তাৎক্ষণিক আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়েছি। এ ছাড়া সতর্কতামূলক সেতুর দুই পাশেই গাছ ফেলে বেরিকেট দেওয়া হয়েছে যেন কেউ দুর্ঘটনার শিকার না হয়।
দেবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রত্যয় হাসান বলেন সংযোগ সেতুটি ভেঙে যাওয়ায় আমরা মর্মাহত, সাধারন মানুষের দুঃখ, দুর্দশায় তাদেরকে ধৈর্য ধরার জন্য অনুরোধ করছি। পানির তোড়ে ওই সেতুর দুই পাশের সংযোগ সড়ক ভেঙে গেছে। ব্যস্তময় সড়কটিতে এখন যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। কিন্তু নদীতে স্রোতের গতি বেশি থাকায় সড়কটি এখন মেরামত করা সম্ভব নয়। পানি কমে যাওয়া পর্যন্ত আমাদের অপেক্ষা করতে হবে।