ময়মনসিংহ ত্রিশাল সংবাদদাতা:
করানো পরিস্থিতিতেও যারা গরীবের হক যারা আত্মসাৎ ও ত্রাণের চাল চুরির সঙ্গে জড়িত তারা পশুর চেয়েও জঘন্য। ময়মনসিংহের সদর উপজেলা ভাবখালী ইউনিয়ন আওয়ামিলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মজিবর রহমান ডিলার বলেন, বাংলাদেশে গরীব দুঃখী অসুহায় মানুষের অন্ন যারা আত্মসাৎ ও চুরির সঙ্গে যুক্ত অমানুষদের সামাজিকভাবে ঘৃণা করা উচিত, যাতে অন্যরা শিক্ষা নিতে পারে। গত ৫ এপ্রিল থেকে সার বাংলাদেশে ত্রাণের চাল চুরি প্রসঙ্গে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায়, অনলাইন ও গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে গরীবের চাউল চুরি। করোনাকালীল বিশেষ পরিস্থিতিতেও ত্রাণ আত্মসাতের অভিযোগ ওঠেছে। বিশেষ করে সরকারদলীয় বেশ কিছু রাজনীতিক এবং জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে ত্রাণের চাল চুরির অভিযোগ এনে গণমাধ্যম ও সামাজিক মাধ্যমে সমালোচনা হচ্ছে। এমন সময়ে চাল চুরির খবর সত্যিই অবাক করেছে। যারা এসব কাজের সঙ্গে যুক্ত তারা অমানুষ। তারা নরপশুর চেয়েও খারাপ, সরকার দলীয় রাজনীতিকরাই চুরির সঙ্গে যুক্ত। রাজনৈতিক বাস্তবতার ধারাবাহিকতায় এমন কিছু ব্যক্তি তৈরি হয়েছে, যাদের কর্মই হচ্ছে কীভাবে অন্যের অধিকার হরণ করা যায়। ডিলার বলেন আমি মনে করি, দুর্নীতিবাজদের কোনো দল নেই। এদের কোনো রাজনীতি থাকতে পারে না। দুনীর্তিই এদের রাজনীতি এবং তারা যেকোনো সরকারের আমলেই সুযোগ খোঁজেন। মজিবুর বলেন কী বলবো আর বলার কোন ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক শেখ হাসিনা বারবার হুঁশিয়ারি দেয়ার পরেও চাউল চুরির মত এমন জঘন্য ঘটনাও ঘটছে। আমার মনে হয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা সর্বোচ্চ নির্দেশনা। এরপরেও যদি এমন কোনো ঘটনা ঘটে তাহলে ছাড় পাওয়ার কোনও সুযোগ নেই। ইতোমধ্যেই চাল চুরির সঙ্গে যুক্ত বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে সরকার বদ্ধপরিকর। মজিবর রহমান বলেন, তবে এই অপরাধীদের সামাজিকভাবে বয়কট করে ঘৃণা করা উচিত। যাতে করে অন্যরা লজ্জিত হয়ে শিক্ষা নিতে পারেন।
