মোঃ মঈন উদ্দীন চিশতী, দিনাজপুর প্রতিনিধিঃ
দেশে করোনা ভাইরাসের বিস্তৃতি মোকাবেলায় সরকার ইতোমধ্যে ২৬ মার্চ হতে ৪ এপ্রিল ২০২০ ইং তারিখ পর্যন্ত সমগ্র দেশে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছেন। এর প্রেক্ষিতে জনসাধারণকে ২৬ মার্চ ২০২০ তারিখ সকাল ৬ টা হতে পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত অতিজরুরী যেমনঃ খাদ্য ও ঔষধ ক্রয়, চিকিৎসা ইত্যাদি প্রয়োজন ছাড়া কোনভাবেই বাড়ীর বাইরে বের না হওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হলো। তবে কাঁচা বাজার,খাবার ও ঔষধের দোকান, হাসপাতাল এবং জরুরী সেবার জন্য এই নির্দেশ প্রযোজ্য হবে না। কৃষি উপকরণের দোকান ও চালকলসমুহ সীমিত পিরিসরে খোলা রাখা যাবে। জরুরী সেবা ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষার কাজে জড়িত যানবাহন ব্যতীত অন্য সকল প্রকার যানবাহন বন্ধ থাকবে। করোনা ভাইরাসের বিস্তৃতি মোকাবিলায় এ সকল নির্দেশ ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
দিনাজপুরে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে জনসমাগম এড়াতে সকাল থেকে মাঠে নানা তৎপরতা চালাচ্ছেন র্যাব, সেনাবাহিনী, দমকলকর্মীসহ আইন প্রয়োগকারি সংস্থার সদস্যরা। পরবর্তী ঘোষণা না পাওয়া পযন্ত এই তৎপরতা চলতে থাকবে বলে জানা যায়।
দিনাজপুরে করোনা পজেটিভ রোগী না থাকায় দিনাজপুর জেলাকে লোকডাউন করা না হলেও যাত্রী পরিবহন যানবাহনসহ জন চলাচল নিরুৎসাহিত করতে রাস্তায় রাস্তায় অভিযান চালাচ্ছেন তারা। মানুষের সমাগম কমাতে লাঠিপেটার পথ ধরেছে পুলিশ। এতে ঘরে ফিরতে বাধ্য হচ্ছেন অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে ঘুরে বেড়ানো প্রকৃতির মানুষেরা।
টহল দেওয়ার পাশাপাশি করোনার ভয়াবহতা সম্পর্কে হ্যান্ড মাইকে প্রচারনা চালাচ্ছেন সেনা সদস্যরা।দিনাজপুরে বিভিন্ন স্থানে জীবানু নাশক স্প্রে করছেন দমকল কর্মীরা। মোটর সাইকেলের বহর নিয়ে শহরে টহল দিচ্ছে পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের সদস্যরা। আর জটলা দেখলেই মৃদু লাঠিপেটায় ছত্রভঙ্গের পথ ধরছে র্যাব ও থানা পুলিশের সদস্যরা।
এদিকে খাদ্য সামগ্রীসহ অনুমোদিত ছাড়া সব ধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে। চলাচল বন্ধ রয়েছে পণ্যবাহি ছাড়া সব ধরনের গন পরিবহন।
এদিকে দিনাজপুরে পর্যায়ক্রমে বাড়ছে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকা প্রবাসিদের সংখ্যা। গেল ২৪ ঘন্টার মধ্যে আরো ৩৪ জনসহ ৩৮৩জনকে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে।