নিজস্ব প্রতিবেদক: জুরাইনের মুরাদপুরের মেডিকেল রোড এলাকায় লিজাড মশার কয়েল কারখানায় গ্যাস ও বিদ্যুৎ চুরির মহোৎসব চলছে। অবৈধভাবে গ্যাস সংযোগ, বিদুৎ চুরি ও শিশু শ্রমিক দিয়ে প্রতি মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে অবৈধ কারখারখানা মালিক সাহজাহান। সরকার হারাচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকার রাজস্ব।
এছাড়াও বিভিন্ন সময় এ অবৈধ কয়েল কারখানায় আগুনের ঘটনা ঘটায় আতঙ্ক, ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতিসহ বিভিন্ন বায়ুবাহিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে আশে-পাশের সাধারণ জনগন। সাইনবোর্ডবিহীন এ কয়েল কারখানা় এলাকাবাসীর অকাল মৃত্যুর কারণ হয়ে দাড়িয়েছে।
জানা যায়, জুরাইনের মুরাদপুরের মেডিকেল রোডের মাথায় শাজাহান খানের বাসায় লিজেড মশার কয়েল ব্যান্ডের অবৈধ মশার কয়েল তৈরির কারখানা রয়েছে। এ কারখানায় রয়েছে অবৈধ গ্যাসসংযোগ, বিদ্যুৎ চুরি ও শিশু শ্রমিক।
সাইনবোর্ডবিহীন এ কারখানায় রয়েছে সিসি ক্যামরা। কারখানার প্রধান ফটকে বাইরে দিয়ে তালা ঝুলিয়ে রাখে যাতে সহজেই কেউ কারখানায় প্রবেশ করতে না পারে, আর বুজতেও না পারে এখানে কী হচ্ছে ? তিতাস গ্যাস, বিদ্যুৎ, বিএসটিআই সহ বিভিন্ন সংস্থার অভিযানের খবর পেয়ে অতিসহজেই মালিক ও শ্রমিকরা কারখানার পিছনের গেট দিয়ে নির্বিঘ্নে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।
স্থানীয় এলাকাবাসীরা বলেন, এ ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় কয়েল ফ্যাক্টরী গড়ে ওঠার কারণে বিষাক্ত ক্যামিকেল, দুর্গন্ধ ও ময়লা পানির কারণে অনেকের হাপানি, শ্বাসকষ্টসহ নানাহ বায়ুবাহিত রোগ ছড়িয়ে পড়ছে, ফলে আমাদের বসবাস করতে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিয়েছে।
স্থানীয় এলাকাবাসী জানায়, এ কারখানার তৈরি অবৈধ কয়েলের গুণগত মান পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয় না। তাছাড়া বিভিন্ন নামিদামি কারখানার কয়েল অবিকল নকল করে বাজারজাত করছে এসব কারখানা মালিকপক্ষ। বিভিন্ন মোড়ক তৈরি করে অবৈধ কারখানার মালিক তাদের নিজেদের তৈরি কয়েল প্যাকেট করে গোপনে বাজারজাত করছে। অনুমোদিত কয়েলের চেয়ে দাম অনেক কম হওয়ায় খুচরা বিক্রেতারা অধিক মুনাফার লোভে নকল কয়েল বিক্রি করছে ক্রেতাদের কাছে। ক্রেতারা অনুমোদিত কারখানার তৈরি কয়েল মনে করে বেশী দামে অভিকল নকল কয়েল কিনে প্রতারিত হচ্ছে।
এসব নকল কয়েল মানব দেহের জন্য মারত্মক ক্ষতিকর। অবৈধ কারখানা মালিকরা নকল কয়েল তৈরি ও বাজারজাত করে একদিকে ক্রেতাদের সাথে প্রতারণা করে আর্থিক ফায়দা লুটছে অপর দিকে জীবনকেও ঠেলে দিচ্ছে হুমকির মুখে। এ কাখানায় অবৈধভাবে গ্যাস ও বিদ্যুৎ লাইন সংযোগের অভিযোগ রয়েছে। অপরিকল্পিত ভাবে গড়ে উঠা এ অবৈধ অনুমোদনহীন কারখানায় বিভিন্ন সময় আগুন লাগার ঘটনাও ঘটছে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর জরুরী হস্থক্ষেপ কামনা করেছে সচেতন এলাকাবাসী।