মোঃ মঈন উদ্দীন চিশতী,দিনাজপুর প্রতিনিধিঃ
২ মার্চ ২০২০ ইং রোজ সোমবার দুপুরে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে গিয়ে রিয়ার চিকিৎসার খোঁজ-খবর নেন দিনাজপুর জেলা প্রশাসক মাহমুদুল আলম।
এ সময় জেলা প্রশাসক উন্নত চিকিৎসা দেয়ার জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন। তিনি ভিকটিমের পরিবারকে আর্থিক সহযোগিতা করেন। রিয়ার সাথে সেদিন কী ঘটেছিল, তা শোনের।
সুষ্ঠু বিচারের আশ্বাস দিয়ে জেলা প্রশাসক মাহমুদুল আলম বলেন, এসিড নিক্ষেপকারী স্বামী তানভীরুল হাসান রাহুলকে আইনের আওতায় এনে সব্বোর্চ শাস্তি নিশ্চিত করা হবে। তিনি পুলিশ বাহিনীকে নির্দেশ প্রদান করেন।
উল্লেখ্য, দিনাজপুরের সুইহারী মাঝাডাঙ্গা গ্রামের তোফাজ্জল হোসেনের মেয়ে রিয়া বেগমের সাথে গত ৪ বছর আগে মিজানুর রহমানের ছেলে তানভীরুল রহমান রাহুলের বিয়ে হয়। বিয়ের সময় যৌতুক দেয়া হলেও কিছুদিন পর থেকে আরও দুই লাখ টাকা যৌতুকের জন্য রিয়ার ওপর চাপ দিতে থাকে স্বামীর পরিবার। গত এক মাস আগে যৌতুকের দাবি করায় রিয়া বাবার বাড়িতে চলে যায় এবং সেখানেই বসবাস করছে।
গত ২৯ ফেব্রুয়ারী রাত ৮টার দিকে দিনাজপুরের বাণিজ্য মেলা থেকে রিয়া বেগম, তার মা ও ভাবী মিলে সুইহারী মাঝাডাঙ্গা বাড়ি ফেরার পথে হিরাহার পাকা রাস্তার ওপর রিয়ার স্বামী তানভীর রহমান রাহুলসহ আরও ৬জন রিয়ার মা ও ভাবীকে অটোরিকশা থেকে নামিয়ে মারধর করে। রিয়া বেগম এগিয়ে গেলে তার স্বামী রাহুল ও অন্যরা তাকে এসিড নিক্ষেপ করে।
অভিযোগের ভিত্তিতে গৃহবধূর দেবর ও ননদকে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃতরা হলেন দিনাজপুর পৌর এলাকার মামুনের মোড়ের মিজানুর রহমানের ছেলে রাজ (২০) ও ময়ুরী বেগম (৩০), গৃহবধূর স্বামী তানভীরুল রহমান রাহুল (২৬) পলাতক রয়েছে।
কোতোয়ালি থানার ওসি মোজাফ্ফর হোসেন জানান- গৃহবধূ রিয়া বেগম দিনাজপুর এম. আব্দুর রহিম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি রয়েছেন। তার শরীরের প্রায় ১২ থেকে ১৫ শতাংশ ঝলসে গেছে। আটকদেরকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরো জানান- রিয়া বেগম দিনাজপুরের সুইহারী মাঝাডাঙ্গা গ্রামের তোফাজ্জল হোসেনের মেয়ে। ৪ বছর আগে দিনাজপুর পৌর এলাকার মামুনের মোড়ের মিজানুর রহমানের ছেলে তানভীরুল রহমান রাহুলের সঙ্গে তার বিয়ে হয়।