কাজ করবে দুই দেশ জাল নোট ঠেকাতে
December 18, 2017
অপরাধ, অর্থনীতি, আইন ও আদালত, আন্তর্জাতিক, জাতীয়, প্রচ্ছদ, শিক্ষা, সারা বাংলা
116 Views
জাল নোটের উৎস চিহ্নিত করাসহ জাল নোট তৈরি ও বিতরণকারীদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ও ভারত যৌথভাবে কাজ করবে। দুই দেশের পুলিশ কর্মকর্তারা এখন থেকে তাৎক্ষণিক গোয়েন্দা তথ্য বিনিময় করবেন। এ জন্য কর্মকর্তাদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণও দেওয়া হবে।
গতকাল রোববার পুলিশ সদর দপ্তরে বাংলাদেশ ও ভারত জাল নোট-সংক্রান্ত যৌথ টাস্কফোর্সের সভায় এসব সিদ্ধান্ত হয়।
সভায় বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন উপমহাপরিদর্শক (ক্রাইম ম্যানেজমেন্ট) রৌশন আরা বেগম এবং ভারতীয় প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে ছিলেন এনআইএর মহাপরিদর্শক শ্রী অনিল শুক্লা। দুই দেশের ২৬ জন কর্মকর্তা বৈঠকে অংশ নেন।
এর আগে এ বছরের ১২ সেপ্টেম্বর ভারতের হিন্দুস্তান টাইমসসে দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের জব্দ তালিকা ধরে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতে জাল নোট ঢুকছে সীমান্তবর্তী জম্মু, পাঞ্জাব, রাজস্থান, গুজরাট, পশ্চিমবঙ্গ, আসাম ও মেঘালয়ের ১৩টি পয়েন্ট থেকে। সম্প্রতি বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে ভারতীয় জাল নোট ঢোকার ঘটনাও অনেক বেড়ে গেছে।
এদিকে বাংলাদেশি মুদ্রা ভারতে পাচারের সময় যশোরের বেনাপোল ও চীনে পাচারের জন্য ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উদ্ধার হয় বলে খবর জানায় আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
গতকাল পুলিশ সদর দপ্তরে আয়োজিত বৈঠকে দুই দেশ আলাদাভাবে কোন কোন বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে, জানতে চাইলে পুলিশের সহকারী মহাপরিদর্শক সহেলী ফেরদৌস বলেন, কোনো দেশই আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বেগ প্রকাশ করেনি। তবে জঙ্গি অর্থায়ন ও মাদক কেনাবেচায় জাল নোট ব্যবহারের ঘটনা ঘটেছে। জঙ্গিবাদী কার্যক্রম পরিচালনার সময় অস্ত্র কিনতে বিপুল অঙ্কের টাকা লেনদেন হয়। এর মধ্যে জাল নোট থেকে যেতে পারে। এমন ঘটনাও ঘটেছে, ভারতে চিকিৎসা করাতে গিয়ে রোগী ও তাঁর স্বজনেরা জাল নোটের কারণে বিপদে পড়েছেন। এসব চিন্তা থেকেই দুই দেশ জাল নোটের উৎস চিহ্নিতকরণ ও বিস্তার রোধে একসঙ্গে কাজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বৈঠকে ভারতীয় প্রতিনিধিদলের প্রধান এনআইএর মহাপরিদর্শক শ্রী অনিল শুক্লা বলেন, দুই দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখার জন্য তাঁরা যৌথভাবে অপরাধ দমনে কাজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
এর আগে ভারতীয় প্রতিনিধিদলের সদস্যরা বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক এ কে এম শহীদুল হকের সঙ্গে তাঁর অফিস কক্ষে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এ সময় তাঁরা বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে জাল নোট বন্ধের বিভিন্ন দিক নিয়ে মতবিনিময় করেন।