সুজন রাজশাহী প্রতিনিধি :
নিজস্ব গোয়েন্দা নজরদারির প্রেক্ষিতে, রাজশাহী জেলা পুলিশ সুপার মোঃ শহিদুল্লাহ বিপিএম, পিপিএম ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ মাহমুদুল হাসান এবং মোঃ মতিউর রহমান সিদ্দিকি এর যৌথ নির্দেশনায় বরাবরের মতোই একটি অভিযান পরিচালনা করা হয়। তানোর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ রাকিবুল হাসান এই অভিযান গুলোতে সার্বিকভাবে নেতৃত্বে দেন। বুধবার ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ইং বিকাল থেকে পৃথক পৃথক ৩টি অভিযানে ফেন্সিডিল, গাঁজা ও চৌলাইমদ উদ্ধারসহ ০৪ আসামিকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হন তানোর থানা পুলিশ।
অভিযান পরিচালনা কারি অফিসারগন ও গ্রেফতারকৃত আসামিরা হলেন, যথাক্রমে, প্রথম অভিযানটি পরিচালনা করেন, এসআই (নিঃ) মোঃ হামিদুল ইসলাম, এএসআই (নিঃ) মোঃ মুকুল হোসেন, এএসআই (নিঃ) মোঃ রকিবুল হোসেন, তানোর থানা, রাজশাহী। তারা সঙ্গীয় পুলিশ ফোর্সসহ আসামী ১। আব্দুস সবুর ওরফে (বাবু) (৩৫), পিতা- মৃত: আঃ রাজ্জাক , সাং- গুবিরপাড়া, থানা- তানোর, জেলা- রাজশাহী’কে, ০১ (এক) বোতল অপিয়াম উদ্ভুত কোডিন মিশ্রিত ভারতের তৈরী বেআইনী ফেন্সিডিল উদ্ধারসহ হাতে নাতে গ্রেফতার করেন।
দ্বিতীয় অভিযানটি পরিচালনা করেন, এসআই (নিঃ) মোঃ গোলাম মোস্তফা, এএসআই (নিঃ) শ্রী. পলাশ রায়, এএসআই (নিঃ) মোঃ সাজেদুর রহমান, তানোর থানা, রাজশাহী। তারাও সঙ্গীয় পুলিশ ফোর্সসহ আসামী ১। মোঃ মিজানুর রহমান (৩০), পিতা- মোঃ রিয়াজ উদ্দিন, সাং- চক-দমদমা, থানা- তানোর, ২। মোঃ জসিম উদ্দিন (২৪), পিতা- মোঃ ইদ্রিস আলী, সাং- পিয়ারপুর, থানা- মোহনপুর, উভয়ের জেলা- রাজশাহী’কে, ২০ (বিশ) গ্রাম গাঁজা উদ্ধারসহ ঘটনাস্থলেই গ্রেফতার করেন।
দ্বিতীয় অভিযানটি পরিচালনা করেন, এসআই (নিঃ) মোঃ সানোয়ার হোসেন, এএসআই (নিঃ)১৬০ মোঃ হাফিজুল ইসলাম (১), তানোর থানা, রাজশাহী। তারা সঙ্গীয় পুলিশ ফোর্সসহ আসামী ১। শ্রী দিলীপ হেমরম (৩১), পিতা- শ্রী. নিরেন হেমরম, সাং- মুন্ডুমালা মাহালীপাড়া, থানা- তানোর, জেলা- রাজশাহী’কে ২০ (বিশ) লিটার অবৈধ চোলাইমদ উদ্ধারসহ গ্রেফতার করেন।
এ অভিযান ৩টির বিষয়ে তানোর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রাকিবুল হাসান বলেন, আমাদের শ্রদ্ধিয় পুলিশ সুপার মহোদয়ের সঠিক দিক নির্দেশনায় আমরা প্রতিনিয়ত অভিযান পরিচালনা করে আসছি। তার’ই ধারাবাহিকতায় বুধবার বিকেল থেকে রাত ব্যাপি এই অভিযান গুলো সফলতার সাথে পরিচালনা করি। সেই সময় ফেন্সিডিল, গাঁজা ও চৌলাইমদ সহ পৃথক ৩টি অভিযানে ০৪ আসামি গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছি। বৃহস্পতিবার ০৬ ফেব্রুয়ারি বেলা ১১টার দিকে তাদেরকে পুলিশ হেফাজতে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। পাশাপাশি দেশ ও জাতির কল্যানার্থে আমাদের পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে সকল প্রকার অরাজকতাকে রুখে দিতে আমরা সার্বক্ষণিক প্রস্তুত। আমাদের এই অভিযান চলমান থাকবে এবং গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত রয়েছে। অপরাধীরা যতোই শক্তিশালী বা ক্ষমতাধর হোকনা কেন তাদের কোন প্রকার ছাড় দেওয়া হবেনা বলেও তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন।