Crime-24
পরিবারের জন্য কাজ করলেও পাহাড়ি জনপদে নানা বঞ্চনার শিকার আদিবাসী নারীরা। শিক্ষার অনগ্রসরতায় ক্রমশ বাড়ছে নারীর প্রতি সহিংসতার চিত্র। বঞ্চিত হচ্ছেন মৌলিক অধিকার থেকে। পার্বত্য চট্টগ্রামের সেই সমাজব্যবস্থার পরিবর্তন করে নারীর অধিকার রক্ষার আন্দোলনে অগ্রণী ভূমিকা রাখছে স্পার্ক। সমাজ উন্নয়নে অনবদ্য ভূমিকা রাখায় এ বছর ‘জয়বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড’ পেয়েছে তরুণদের এমন ৩০টি সংগঠন। অদম্য বাংলাদেশের গল্পে আজ থাকছে ‘স্পার্ক’-এর পথচলা।
প্রকৃতির নৈসর্গিক বৈচিত্র্যের অপরূপ সৌন্দর্যের ভূমি রাঙামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি নিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম। পাহাড় আর সবুজের ঘেরা এ জনপদে বাঙালি-আদিবাসী মিলিয়ে নানা জনগোষ্ঠীর বাস। অপরাপর সমাজব্যবস্থা থেকে পাহাড়ি সমাজব্যবস্থা কিছুটা আলাদা। এখানকার ৮০ শতাংশের বেশি নারী ঘরের বাইরে কাজ করে থাকেন। কিন্তু এখানেও নারীকে দমিয়ে রাখতে আছে প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ নানা প্রবণতা।
নারীদের বঞ্চনা থেকে মুক্তির লক্ষ্যে ২০১৩ সালে যাত্রা শুরু হয় সাপোর্টিং পিপল অ্যান্ড রি-বিল্ডিং কমিউনিটিস বা স্পার্ক।
রাঙ্গামাটি সাপোর্টিং পিপল অ্যান্ড রি-বিল্ডিং কমিউনিটিসের (স্পার্ক) নির্বাহী পরিচালক সুস্মিতা চাকমা বলেন, সমাজে নারীর প্রতি বৈষম্য আছে ; আমরা এটা কাটিয়ে উঠে সামনে দিকে যাওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছি।
নারীর অধিকার রক্ষার পাশাপাশি নারীর প্রতি সহিংসতা বন্ধেও নানা উদ্যোগ। বাল্যবিয়ে ও বৈষম্যহীন পাহাড়ি জনপদ গড়তে চলে প্রদর্শনী। যেখানে তুলে ধরা হয় নারীর অধিকারের কথা। ছড়ানো হয় নারী শিক্ষার বার্তাও।
আবার কখনো সংগঠনের কর্মীদের সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় উঠে আসে সমাজে অবস্থান। নারীর প্রতি সহিংসতা নয় ভালোবাসায় সমানতালে এগিয়ে যাওয়ার উপায়।
স্পার্কের নির্বাহী পরিচালক সুস্মিতা চাকমা বলেন, ‘নারী নিয়ে যখন আমরা কথা বলতে চাই স্বাভাবিকভাবে এটা পুরুষতান্ত্রিক সমাজের বিরুদ্ধে কথা বলতে হয়। এটাকে মেনে নেয়ার মানসিকতা এখনো গড়ে উঠেনি।’
ধীরে ধীরে বিস্তৃত হয়েছে স্পার্কের কার্যক্রম। নারীর পাশাপাশি শিশুর অধিকার ও নিরাপত্তায় রক্ষায় চলছে বিভিন্ন কর্মসূচি।
পাহাড়ি জনপদে নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনেও এগিয়ে এসেছে সংগঠনটি। তিন পার্বত্য জেলার সমাজ উন্নয়নে এমন অনবদ্য অবদানে এবছর জয়বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে স্পার্ক।
crimereport-24.com