শামীম হোসেন,জামালপুর জেলা প্রতিনিধি!!
জামালপুরের মেলান্দহ শ্যামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা তাহমিনা বেগম মিনুর বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতি-স্বেচ্ছাচারিতা-কর্মফাঁকিসহ বই বিতরণের নামে অর্থ হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগের তদন্ত সম্পন্ন হয়েছে।
শনিবার সকালে সহকারি শিক্ষা অফিসার আবুল কাশেম শতাধিক অভিভাবক, এসএমসি, শিক্ষক কর্মচারিদের উপস্থিতিতে তদন্ত করেন। এসএমসির সভাপতি মাহফুজুল হক মেম্বারের লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত সম্পন্ন হয়।
অভিযোগে প্রকাশ, প্রধান শিক্ষিকা তাহমিনা বেগম মিনু বেলা ১১টার পর স্কুলে আসেন। দুপুর ২টায় চলে যান। প্রধান শিক্ষকের কর্মফাঁকির সুবাদে অন্যান্য শিক্ষকরাও কর্মফাঁকি দিলেও দেখার কেও নেই। কোন ছাত্র অভিভাবক কিংবা এসএমসির সদস্যরা খবর নিতে গেলেও তাদের সাথে দুর্ব্যবহার করেন ওই প্রধান শিক্ষিকা । এতে লেখাপড়ার চরম অবনতি হচ্ছে। লেখাপড়ার অবনতির দরুণ অনেক শিক্ষার্থীরা চলে যাচ্ছে। উপবৃত্তির নাম দিতে অভিভাবকদের কাছ থেকে ২শ’ করে টাকা নেন।
প্রতি পরীক্ষার সময় শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ফি আদায় করেন। পরীক্ষার সময় কোমলমতি শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে পিকনিকের কথা বলে টাকা নিলেও পিকনিক না করে শিশুদের সাথে প্রতারণা করেন। এসএমসির সদস্যদের না জানিয়েই স্লিপ প্রকল্পের অর্থ নিজেই খরচ করেন। ছাত্র অভিভাবক, এসএমসির সদস্য এমনকি শিক্ষকদের সাথেও অসদাচরণ করেন তিনি। এব্যাপারে শিক্ষিকা তাহমিনা বেগম মিনু জানান, আমার বিরুদ্ধে পরিচালনা কমিটির সভাপতি মাহফুজুল হক বিভিন্ন দপ্তরে যে,লিখিত অভিযোগ করেছেন তা সম্পূন্ন মিথ্যা এবং উদ্দেশ্য প্রণোদিত । তার স্বার্থ হাসিলের জন্য ছাত্র অভিভাবকদের আমার পিছনে লেগেছে। আমি কোন অনিয়মের সাথে জড়িত না।
অভিযোগের প্রেক্ষিতে শিক্ষা অফিসার আব্দুল হামিদ জানান-অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষিকার বিষয়ে তদন্ত চলছে। ইতোমধ্যেই প্রথম ধাপের তদন্ত হয়েছে। আরো তদন্ত অব্যাহত আছে। দোষি প্রমানিত হলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।