অনলাইন ডেস্ক
ক’দিন ধরে দেশের ক্রিকেটে সবচেয়ে আলোচিত বিষয়টির নাম বিপ টেস্ট। জাতীয় ক্রিকেট লিগ শুরু হচ্ছে ১০ অক্টোবর থেকে। তার আগে ক্রিকেটারদের ফিটনেসে জোর নজর বাংলাদেশে ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি)।
ঘরোয়া এই প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে খেলার সুযোগ পেতে বিপ টেস্টে ১১ পাওয়ার সীমা নির্ধারণ করে দিয়েছিল বিসিবি। মঙ্গলবার ছিল সেই আলোচিত বিপ টেস্টের প্রথম পর্ব। ঢাকাসহ বেশ দেশের বেশ কয়েকটি ভেন্যুতে নেওয়া হয়েছে ৮ বিভাগের ক্রিকেটারদের ফিটনেস টেস্ট।
যেখানে অনেক ক্রিকেটার ১১-এর সীমা উতরে গেলেও পারেননি বেশ কিছু তারকা ক্রিকেটার। যাদের মধ্যে আছেন মোহাম্মদ আশরাফুল, আবদুর রাজ্জাক, নাসির হোসেনের মতো ক্রিকেটার।
আশরাফুল বিপ টেস্টে পেয়েছেন ৯.৭। ৩৭ পেরোনো অভিজ্ঞ আবদুর রাজ্জাকের স্কোর- ৯.৬। অর্থাৎ ১০ ও পাননি তারা। নাসির হোসেন, ইলিয়াস সানিদের চিত্রটাও একই।
এদিকে বিপ টেস্টে ক্রিকেটারদের ফিটনেসে সন্তুষ্টির কথা জানিয়েছেন নির্বাচক হাবিবুল বাশার সুমন। মিরপুরে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমার মনে হয় যে যাই বলুক খেলোয়াড়রা এটি খুব ইতিবাচকভাবে নিয়েছে। এটা খেলোয়াড়দের জন্যই ভালো, সবাই তা উপলব্ধি করতে পেরেছে। এই কারণে আমি খুবই খুশি।’
‘ঢাকার বাইরের ফলাফল আমরা এখনো হাতে পাইনি। তবে ঢাকাতে এখন পর্যন্ত প্রায় ৯৬ ভাগ পাশ করে গেছে। যে লক্ষ্যটা দেওয়া হয়েছিল সেটা পূরণ করতে পেরেছে।’
অভিজ্ঞ ও পারফরমারদের ক্ষেত্রে এই পরীক্ষায় কিছুটা ছাড় দেওয়ার কথা জানানো হয়েছিল আগের দিন। এদিন হাবিবুল বললেন, যারা নির্দিষ্ট সীমায় পৌঁছাতে পারেননি তাদের সামনে সুযোগ থাকছে একাধিকবার বিপ টেস্ট দেওয়া।
সাবেক এই অধিনায়ক বলেন, ‘আমরা কিন্তু এটা বলেছি যে যদি কেউ পূরণ করতে না পারে আমরা দ্বিতীয়বার, তৃতীয়বার, চতুর্থবার নেব। সুযোগটা থাকবে ওই পর্যায়ে আসার। আমরা একটা স্ট্যান্ডার্ড অনুসরণ করার চেষ্টা করছি, সংস্কৃতি তৈরি করার চেষ্টা করছি। আমি আশা করছি সবাই এটা বুঝতে পারবে। আমার খেলোয়াড়রা বুঝতে পেরেছে তো আমি খুবই খুশি।’