নিজস্ব প্রতিবেদক
জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক জহুরুল ইসলামকে ডিবি পুলিশের এস.আই ও তার সোর্স বেধড়ক মারধর করা অভিযোগ উঠেছে। আহত জহুরুলকে জয়পুরহাট আধুনিক জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রবিবার বিকেল ৫টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। আহত জহুরুল পাঁচবিবি উপজেলার ধরঞ্জী ইউনিয়নের উঁচনা গ্রামের লুৎফর রহমানের ছেলে।
আহত জহুরুল, তার স্বজন ও এলাকাবাসী হাবিবুল বাশার, লাইজুর রহমানসহ অনেকে জানান, রবিবার বিকেলে বাড়ির পাশে একটি খেলার মাঠে জহুরুলসহ কয়েকজন খেলতে যাচ্ছিল। এমন সময় ডিবি পুলিশের এস.আই আমিরুল ও তার সাথে থাকা সোর্সসহ কয়েকজন তাকে ধরে এবং কোন কথা বলার সুযোগ না দিয়ে হেলমেট, বেল্ট এবং হ্যান্ডকাপ দিয়ে তার মাথা ও মুখসহ শরীরে বেধড়ক মারপিট করে টেনে হেচড়ে মাইক্রো গাড়িতে নিয়ে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে তাকে ছেড়ে দেয়। এতে জহুরুলের দাঁতের মাড়ি ভাঙ্গাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে ফুলা যখম হয়। এলাকাবাসীরা ডিবি পুলিশকে জহুরুলের অপরাধ জানতে চাইলে ডিবির এস.আই আমিরুল ও তার সোর্স ঘটনাস্থল দ্রুত ত্যাগ করে। ঘটনাস্থলেই অন্যান্য ডিবি পুলিশ সদস্যরা বলেন, অন্য এক আসামীর নামের মিল থাকায় ভুলবশত তাকে ধরা হয়েছিল বলে দুঃখ প্রকাশ করেন। তারপর তাকে অসুস্থ অবস্থায় স্থানীয় স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করালে অবস্থার অবনতি হলে রাতে জয়পুরহাট আধুনিক জেলা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। এলাকাবাসীরা আরো জানান, জহুরুলের নামে মাদক বা অন্য মামলা নেই। তবে কেন তাকে এভাবে মারধর করা হলো? আমরা এর সুষ্ঠ বিচার চাই।
পাঁচবিবি উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আকরাম হোসেন জানান, জহুরুল নামে অন্য আসামীকে ধরতে গিয়ে অন্যায়ভাবে জহুরুলকে ধরে বেধড়ক মারপিট করায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে তদন্ত করে বিচার দাবি করছি।
জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জাকারিয়া রাজা বলেন, একটি এলাকায় জহুরুল নামের বহুলোক থাকতে পারে নাম, ঠিকানা, বাবা ও মায়ের নাম শনাক্ত না করে তাকে ডিবি পুলিশ ও বহিরাগত সোর্সকে দিয়ে বেধড়ক মারধর করার দায়ভার পুলিশকেই নিতে হবে। এ ঘটনায় তদন্ত করে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তার।
ঘটনার ব্যাপারে ডিবির এস.আই আমিরুল হক ক্রাইম রিপোর্ট ২৪ ডট কমকে বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঐ এলাকায় ২জন অফিসারসহ ৬জন পুলিশ সদস্য নিয়ে মাদকসহ কারবারিকে ধরতে গেলে জহুরুল মোটরসাইকেল নিয়ে দ্রুত মাদক কারবারিকে পালিয়ে দেওয়ার সন্দেহে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের সময় তার সঙ্গে তর্ক-বিতর্ক হয়েছে। মাদক বিরোধী অভিযানকে অন্যদিকে ঘোরানোর জন্য এসব অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। আমাদের সঙ্গে কোন সোর্স ছিলনা।
এ ব্যাপারে জয়পুরহাট পুলিশ সুপার সালাম করিব ক্রাইম রিপোর্ট ২৪ ডট কমকে বলেন, লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।