হাসান বাপ্পি, ঠাকুরগাঁওঃঠাকুরগাঁওয়ে নৈশ্য কোচ ও মিনিবাসের মুখোমখি সংঘর্ষে মিনিবাস চালক সহ ৮ জন নিহত হয়েছে। এ দূর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো ২৫ জন। ঘটনার পর ঠাকুরগাঁও -ঢাকা মহাসড়কে ৩ ঘন্টা যান চলাচল বন্ধ থাকে। পরে ফায়ার সার্ভিস ও থানা পুলিশ সড়কের যান বাহন চলাচল স্বাভাবিক করে। শুক্রবার সকাল ৮ টার দিকে ঠাকুরগাঁও -ঢাকা মহাসড়কের বড়খোচা বাড়ি বলাকা উদ্যান এলাকায় ঢাকা থেকে আসা ডিপজল এন্টার প্রাইজ ও দিনাজপুরগামী যাত্রী বাহি নিশাত এন্টার প্রাইজের মুখোমুখি সংঘর্ষে
নিহতের এ ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থলে মিনিবাসের চালক চায়না (৩৫) সহ ৫ জন, ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে নেওয়ার পর ২ জন ও রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে আরো একজন মারা যায়। নিহতরা হলেন, ঠাকুরগাঁও বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার বিপুল চন্দ্র (৩৫), আব্দুল আব্দুর রহমান((৪৫), মোস্তফা (৪৫) , তার স্ত্রী ফাতেমা বেগম(৪০), বীরগঞ্জ
উপজেলার গলিরামের মঙ্গলী রানী(৭০), একই এলাকার মনেস্বরের স্ত্রী জবা (৩৫), আব্দুল মজিদ(৩৬)। আহতদের ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হলে তাদের কয়েক জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে রংপুর মেডিকেল কলেজে রেফার্ড করা হয় ।ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আশিকুর রহমান
দূর্ঘটনায় ৮জন নিহতের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ঢাকা থেকে ঠাকুরগাঁওগামী ডিপজল এন্টারপ্রাইজের একটি বাসের সঙ্গে ঠাকুরগাঁও
থেকে দিনাজপুরগামী নিশাত পরিবহন নামে অপর একটি বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে এ ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের পর দুটি বাসের সামনের অংশ দুমড়ে-মুচড়ে এবং মিনিবাসটির ডান পাশের পুরো অংশ ছুটে যায়।তিনি আরো জানান, নিহতদের মধ্যে পাঁচজন নারী ও তিনজন পুরুষ। ফায়ার
সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা বাস দুটি উদ্ধার করেছে। নিহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে।দুর্ঘটনায় হতাহতদের দেখতে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে দেখতে যান জেলা প্রশাসক ড. কেএম কামরুজ্জামান সেলিম, সিভিল সার্জন আনোয়ারুল ইসলামসহ পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ।
এসময় আহতদের সু-চিকিৎসার সার্বিক সহায়তার জন্য স্বাস্থ্য বিভাগকে নির্দেশ দেন তারা। জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে নিহতের পরিবারের প্রত্যেককে তাৎক্ষনিক ১০ হাজার টাকা করে সহায়তা করবেন জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক ড. কেএম কামরুজ্জামান সেলিম