নিজস্ব প্রতিবেদক:
সাম্প্রতিক সময়ে ছেলেধরা গুজব চরম আকার ধারণ করেছে সারাদেশে। ইতিমধ্যে ছেলেধরা সন্দেহে সারাদেশে গণপিটুনিতে প্রায় ৮ জন নিরপরাধ নারী-পুরুষ নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে কয়েকজন ছিলো শারীরিক ও মানসিক প্রতিবন্ধী। এছাড়া ঢাকার বাড্ডা এলাকায় এক নারী নিজ সন্তানকে স্কুলে ভর্তি করাতে গিয়েও ছেলেধরা সন্দেহে নিহত হয়েছেন। ২০ জুলাই (শনিবার) সিদ্ধিরগঞ্জেও নিজ মেয়েকে দেখতে গিয়ে ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনিতে নিহত হন বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধী সিরাজ (৩৪) নামে এক যুবক। এদিকে ওইদিনই ছেলেধরা সন্দেহে আরেক গণপিটুনির ঘটনায় শারমিন (২৫) নামে এক মানসিক প্রতিবন্ধি নারী আহত হয়।
গুজবে কান না দিয়ে এসব ঘটনা এড়াতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের শ্যামপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মিজানুর রহমান নিজ উদ্যোগে এলাকায় ছেলেধরা গুজব প্রতিরোধে জনসচেতনতায় মাইকিংয়ের ব্যবস্থা করেছেন। এমনকি নিজেও গাড়ি নিয়ে বেড়িয়ে পড়েছেন বিভিন্ন এলাকায়। ঘুরছেন স্কুল, কলেজ ও মসজিদে। বিতরণ করছেন জনসচেতনতামূলক লিফলেট। এছাড়াও পুলিশের কর্মকর্তাদের বিভিন্ন এলাকায় পাঠাচ্ছেন। শুক্রবার (২৬ জুলাই) জুম্মার নামাজের আগে শ্যামপুরের প্রতিটি মহল্লার মসজিদগুলোতে সচেতনতামূলক লিফলেট পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।
মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, ছেলেধরা নিছকই একটি গুজব। এই গুজবে কান দিয়ে আইন হাতে তুলে নেয়া দ-নীয় অপরাধ। তাই কেউ আইন হাতে তুলে নিবেন না। সন্দেহ হলে পুলিশকে জানানোর অনুরোধ জানান তিনি। ২৫ থেকে ৩১ জুলাইকে পুলিশ সদরদপ্তর সচেতনতামূলক সপ্তাহ উল্লেখ করেছে। এই ধারাবাহিকতায় শ্যামপুর থানা এলাকায় এই প্রচারণা চালানো হচ্ছে। শ্যামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার গাড়িসহ পুলিশের ৪টি গাড়িতে ছেলেধরা গুজব প্রতিরোধমূলক ব্যানার লাগিয়ে বিভিন্ন এলাকায় মাইকিংয়ের মাধ্যমে প্রচার চালানো হচ্ছে।