নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর জুরাইন পোস্তগোলাসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় লাইসেন্সবিহী, ফিটনেসবিহীন প্রায় শতাধিক লেগুনা, সিএনজি, বাহাদুর শাহ, রাজেন্দ্রপুর পরিবহন, ব্যাটারি চালিত অটোরিক্সা সহ বিভিন্ন যানবাহন সংশ্লিষ্ট আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর ছত্রছায়ায় দেদারছে চলছে। এতে রাজনৈতিক নেতার লেবাসধারী কতিপয় নেতার সঙ্গবদ্ধ একটি সিন্ডিকেট লাভবান হলেও প্রতিবছর সরকার হারাচ্ছে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব।
রাজধানী ঢাকার দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের আওতাভুক্ত জুরাইন থেকে দয়াগঞ্জ হয়ে গুলিস্থান, জুরাইন থেকে রাইসা বাজার, তাঁতি বাজার, বাবু বাজার, পোস্তগোলা থেকে সদরঘাট, পোস্তগোলা থেকে জেলগেট, জুরাইন থেকে যাত্রাবাড়ী , জুরাইন থেকে পূর্ব দিকের কমিশনার রোড, চেয়ারম্যান বাড়ি, 24 ফুট, মিষ্টির দোকান, জুরাইন রেলগেট থেকে বরইতলা শ্যামপুর, জুরাইন রেলগেট থেকে নতুন রাস্তা, আলমবাগ, জুরাইনের মুরাদপুর, মাদ্রাসা রোড, শনির আখড়া, বিজয় সরণি, দুনিয়া থেকে শনির আখড়া, দোলাই পাড় বিভিন্ন এলাকায়, চলাচলকারি সিএনজি, লেগুনা ,মেক্সিকো ,ট্যাক্সি ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক পোস্তগোলার মোরসহ অটোরিকশা বিভিন্ন যানবাহন চলাচল করছে। এই সব যানবাহন ও ড্রাইভার দের নেই কোনো বৈধ কাগজপত্র ও ড্রাইভিং লাইসেন্স।
অনেক ক্ষেত্রে অপ্রাপ্তবয়স্ক ছেলেদের দিয়ে চালানো হচ্ছে এসব যানবাহন। এদের মধ্যে শিশু-কিশোরদের সংখ্যাই বেশি, আবার এদের দিয়ে মাদক পাচার করা হয়,এইসব সংশ্লিষ্ট এলাকার দায়িত্বে নিয়োজিত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা দেখেও রহস্যজনক কারণে না দেখার ভান করেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক চালক, মাসিক মান্থলি দেয়, প্রতিদিন সঙ্গবদ্ধ দলকে চাঁদা দেয়, ট্রাফিক ইন্সপেক্টরকে মানতিলী টাকা দেয়,তাহলে ফিটনেস, ট্যাক্স টোকেন , লাইসেন্স , ইন্সুরেন্স ,করার কি দরকার,এসব দেখেও না দেখার ভান করছে তারপরও যদি 2/1 টি গাড়ির কাগজপত্র ড্রাইভিং লাইসেন্স দেখার জন্য আটকানো হয়, তৎকালীন কিছু দরে দিলেই সে যাত্রা থেকে রক্ষা পাওয়া যায়,মাঝেমধ্যে আই ওয়াশ হিসেবে 2/1 টি কে ধরে জরিমানার মামলা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়,
সরেজমিনে দেখা গেছে পরিবহন সেক্টরে এই সব অনিয়ম, দুর্নীতি, বন্ধ করা হলে, শিশুশ্রম বন্ধ হতো, ফিটনেসবিহীন গাড়ির কাগজপত্র তৈরি করা এবং ড্রাইভিং লাইসেন্স এর থেকে সরকার প্রতিবছর কোটি কোটি টাকার রাজস্ব আয় হতো, পরিবহন শ্রমিকরা বলেন গাড়ি চালাতে আমাদের কোনো কাগজপত্র দরকার হয় না, স্থানীয় পরিবহন সেক্টরের লিডার ও সংশ্লিষ্ট আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে ম্যানেজ করে চলে ,মজার ব্যাপার হলো ডাইভিং লাইসেন্স গাড়ির কোনো কাগজপত্র না থাকার ব্যাপারে কেউ কোনো প্রশ্ন তুললেই বা কোন অভিযোগ দিলে সংশ্লিষ্ট আইন প্রয়োগকারী সংস্থা কর্তৃপক্ষ তাদের কে বিপদে ফেলে ফায়দা হাসিলের চেষ্টা করতে থাকে