এম জাবেদ হোসাইন ( মীরসরাই প্রতিনিধি)
মীরসরাই ট্র্যাজেডির ৮ টি বছর পূর্ণ হলো। সেদিন একটি মিনিট্রাক কেডে নিয়েচিল তাজা ৪৫ টি প্রাণ। চট্টমেট্রো ১১-০৩৩৭ নম্বরের মিনিট্রাকটি মীরসরাই স্থানীয় স্টেডিয়াম থেকে ফিরছিল বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ ফুটবল ফাইনাল খেলা শেষে দলের খেলোয়াড় ও সমর্থকদের নিয়ে আবুতোরাব এলাকায়। দিনটি ছিল সেই সোমবার ১১ জুলাই ২০১১, কে জানতো এই দিনটাকে মনের মধ্যে গেঁথে রাখতে হবে কষ্টগুলো ধারণকরে বছরের পর বছর মীরসরাইয়ে আবুতোরাব বাজারের গ্রামের বাসিন্দাদের।
সেই দিন বড়তাকিয়া-আবুতোরাব সড়কের সৈদালী এলাকায় ৬০-৭০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে ডোবায় উল্টে যায় মিনিট্রাকটি। ডোবার জল থেকে একে একে উঠে আসে ছাত্রদের লাশ আর লাশ। পরে সেই লাশের সারি গিয়ে থেমেছে পঁয়তাল্লিশ জনে গিয়ে।
ওই ট্রেজেডীতে আবুতোরাব বহু মুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের ৩৩ শিক্ষার্থী প্রাণ হারায়। এ ছাড়া আবুতোরাব সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩ জন, প্রফেসর কামাল উদ্দিন চৌধুরী কলেজের ২ জন, আবুতোরাব ফাজিল মাদ্রাসার ২ জন এবং আবুতোরাব এস এম সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২ জন শিক্ষার্থী মারা যায় এই ট্রেজেডি দুর্ঘটনায়।
মীররসরাই আবুতোরাব ট্র্যাডেজীর ঘটনায় নিহত ৪৫ জন ছাত্রদের মধ্যে ছিল: সাইদুল ইসলাম, সাখাওয়াত হোসেন, তাকিব উল্লাহ মাহমুদ সাকিব, আনন্দ চন্দ্র দাশ, নুর মোহাম্মদ রাহাত, আল মোবারক জুয়েল, তোফাজ্জল ইসলাম, লিটন চন্দ্র দাশ, মোঃ সামছুদ্দিন, মেজবাহ উদ্দিন, ইমরান হোসেন ইমন, কাজল চন্দ্র নাথ, সূর্য চন্দ্র নাথ, ধ্রুব নাথ, আবু সুফিয়ান সুজন, রুপন চন্দ্র নাথ, সামছুদ্দিন, ইফতেখার উদ্দিন মাহমুদ, আমিন শরীফ, উজ্জল চন্দ্র নাথ, শরীফ উদ্দিন, সাখাওয়াত হোসেন, কামরুল ইসলাম, তারেক হোসেন, নয়ন শীল, সাজু কুমার দাশ, জুয়েল বড়–য়া, রায়হান উদ্দিন, জাহেদুল ইসলাম, এস এম রিয়াজ উদ্দিন, টিটু দাশ, রাজিব হোসেন, আশরাফ উদ্দিন, জিল্লুর রহমান, জাহেদুল ইসলাম, সাইফুল ইসলাম, আশরাফ উদ্দিন পনির, রায়হান উদ্দিন শুভ, মঞ্জুর মোর্শেদ, তারেক হোসেন, সাখাওয়াত হোসেন নয়ন, আনোয়ার হোসেন, হরনাথ দাশ, আরিফুল ইসলাম, রাকিবুল ইসলাম চৌধুরী।