স্টাফ রিপোর্টারঃ
নীলফামারীর জলঢাকায় সহকারী শিক্ষিকার ক্ষমতার কাছে জিম্মি ওই একই স্কুলের প্রধান শিক্ষীকা। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর চেরেঙ্গা মাঝাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।
সহকারী শিক্ষিকার ক্ষমতার দাপট আর দূনীতির বিরুদ্ধে অন্যান্য সহকারি শিক্ষিকাগন কথা বললেই তাদের ওপর ক্ষমাতার অপপ্রোয়গ শুরু হয়। এ থেকে বাদ যায় না স্কুলটির যাবতীয় দায়িত্বে থাকা প্রধান শিক্ষীকাও।
এ নিয়ে প্রধান শিক্ষীকার অভিযোগের শেষ নেই সহকারি শিক্ষিকা জাহানারা বেগমের বিরুদ্ধে।
এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষীকা আরজু বেগম বলেন, যেহেতু স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা আমি সেহেতু স্কুলের যাবতীয় কর্মকাণ্ড দেখা ও শুনার দায়িত্ব আমার কিন্তু সহকারী শিক্ষিকা জাহানারা বেগমের কারনে তা পারি না এমনকি সঠিক সময়ে শ্রেনীপাঠদানও নাকি জাহানারা বেগম করান না এসব বিষয় নিয়ে মাঝে মাঝেই আমার সাথে কথা কাটাকাটি লেগেই থাকতো এমতাবস্থায় গত ২৪/০৬/২০১৯ ইং তারিখে আমি প্রতিদিনের মতো স্কুলে যাই এবং যাবতীয় রেজিস্ট্রার খাতা পর্যবেক্ষন করতে গেলে আমার হাত থেকে রেজিস্ট্রার খাতাগুলো ছিনিয়ে নেয় এবং আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে যা আমার স্কুল পরিচালনার কাজে বাধার সৃষ্টি করে আমি ইতিমধ্যে বিষয়টি লিখিত অভিযোগ আকারে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে দিয়েছি আমি আশাকরি এই ভয়াবহ একটা ঘটনার সমাধান পাবো।
এদিকে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার
বলেন,আমাকে অভিযোগ দেওয়ার ব্যাপারে কে যেনো কল দিয়েছিল কিন্তু আমি এখনো অভিযোগ পাইনি লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পরে মেনুয়ালি ওই সহকারী শিক্ষিকার বিরুদ্ধে প্রয়োজনিয় ব্যাবস্থা গ্রহন করা কবে।
উল্লেখ্য যে কিছুদিন আগে এই সহকারী শিক্ষিকা জাহানারা বেগমের বিরুদ্ধে আর এক সহকারী শিক্ষিকা উপজেলা প্রথমিক শিক্ষা অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন এবং উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার (এটিও) মুশফিকুর রহমান পর্যবেক্ষনে যেয়ে জাহানারা বেগমের বিরুদ্ধে ১৪ টি অভিযোগের সত্যতা খুজে পায়। কিন্তু স্কুল ও শিক্ষক/শিক্ষীকাদের সন্মান হানি ও উপজেলা শিক্ষা অফিসের ভাবমূর্তি খুন্ন হবে এমন পরিস্থিতিতে বিষয়টি মিমাংসা হয়।