আনোয়ার: যোগদানের শুরুতেই মাদক, জুয়া, সন্ত্রাসীসহ সব ধরনের অপরাধীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছিলেন ঢাকা মেট্রপলটন পুলিশের ওয়ারী বিভাগের শ্যামপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মিজানুর রহমান। ওসি’র যোগদানের পর থেকেই আইজি গেট, করিমুল্লা বাগ, পোস্তগোলা, খন্দকার রোড, মুন্সিবাড়ি ও ধোলাইপাড় সহ আশেপাশের এলাকায় মাদক নির্মূলে পুলিশের কঠোরতা চোখে পড়ার মতো। বন্ধ হয়ে গেছে ছোট-বড় জুয়ার আসর।
মাদক ব্যবসায়ীরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। সড়ক-মহাসড়কে ছিনতাই- চুরি ডাকাতি বন্ধে পুলিশের টহলও জোরদার করা হয়েছে। ওসি মিজানুর রহমানের কঠোরতায় কমেছে সব ধরনের অপরাধমূলক কাজ। মাদকের বিরুদ্ধে প্রথম থেকেই জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করেছেন এ অফিসার ইনচার্জ। মাদক, ছিনতাই ও সন্ত্রাসীদের দিকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন তিনি । মাদক ব্যবসায়ী ও সেবনকারীদের ঠাঁই নেই। তাদের ধরতে সাঁড়াশি অভিযান একাধিক বার পরিচালনা করেছেন এবং সফলও হয়েছেন।
ওয়ারী বিভাগের ডিসি মোঃ ফরিদ উদ্দিনের নেতৃত্বে ও দিক-নির্দেশনায় শ্যামপুরে মডেল থানার ওসি মাদকের বিরুদ্ধে কঠোর ভাবে কাজ করছেন। মাদকের বিরুদ্ধে জেহাদ ঘোষণা করে সফল হতে যাচ্ছেন ওসি মিজানুর রহমান।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন মাদক সেবনকারী ও ব্যবসায়ী বলেন, ভাইরে, মাদক সেবন করতে জায়গা পাই না। যেখানেই খেতে বসি পুলিশ ছো-দিয়ে ধরে নিয়ে যায়। এজন্য মাদক সেবন বাদ দিয়েছি। পুলিশের কঠোর অবস্থানের কারণে মাদক ব্যবসা আর করা যায় না।
প্রতিজ্ঞা করেছি আর মাদক ব্যবসা না করে ভালো কাজকাম করে বাকী জীবনটা স্ত্রী সন্তান নিয়ে ভালোভাবে কাটাবো।
তারা আরো বলেন, মাদক সেবন ও মাদক ব্যবসা ছেড়ে দেওয়ার জন্য স্ত্রী-সন্তান সবাই খুশি। সমাজের মানুষজনও এখন ভালোবাসে আমাদের কে।