Related Articles
সাইফুর রহমান শামীম: বর্তমান বাংলাদেশ কে বলা হয় তারুণ্যের বাংলাদেশ । বর্তমান মোট জনসংখ্যার এক-তৃতীয়াংশ হলো তরুণ। গত ১০ বছর ধরে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সামাজিক অবকাঠামো উন্নয়নে তরুণরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। তাই আসন্ন ভোটযুদ্ধে কবি হেলাল হাফিজের এই বাণীই বেশি প্রতিধ্বনিত হচ্ছে- এখন যৌবন যার যুদ্ধে যাবার শ্রেষ্ঠ সময় তার। লক্ষণীয় নির্বাচন কমিশন সূত্রে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রায় চার কোটি 20 লক্ষ তরুণ (১৮ হতে ৩৫ ) ভোটার অংশগ্রহণ করছে । আর যদি এ বয়স ১৮ হইতে ৪০ নির্ধারণ করা হয়, তাহলে মোট ভোটারের অর্ধেকই তরুণ । যাদের ভাবনা, সিদ্ধান্ত, ভোট প্রয়োগে নির্বাচনের ফলাফল পরিবর্তন হতে পারে। সম্প্রতি এসডিজি বাস্তবায়ন শীর্ষক যুব সম্মেলনে সিপিডির ফেলো ড দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য্য বলেছেন, এবারের নির্বাচনে এবং আগামীতে সরকার ঘটনে তরুণ ভোটাররা ট্রাম্প কার্ডের ভূমিকা পালন করবে । তাই আগামীতে কেমন সরকার হবে, তাদের আশা আকাঙ্ক্ষার যথেষ্ট প্রতিচ্ছবি থাকতে হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামী ইতিহাসের বিভাগের মেধাবী ছাত্র ইবনে আলম বলেন, মহান বিজয়ের মাসে অনুষ্ঠিত এই নির্বাচনে তিনি তারুণ্য বান্ধব সরকার চান, যেখানে শিক্ষার যুগোপযোগী সংস্কার, কর্মমুখী শিক্ষা চালু ও তরুণদের বেকারত্ব দূরীকরণে তাদের কৌশল উল্লেখ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
মুক্তিযুদ্ধ ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় এবং তা বাস্তবায়নে সুস্পষ্ট কর্মকৌশলে তরুণদের গুরুত্ব উল্লেখ চান।আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বর্তমানে বাংলাদেশ একটি সন্মানজনক স্থানে অবস্থান করেছে। তার ধারাবাহিকতা যেন অব্যাহত থাকে, তা ধরে রাখতে পারে, তাদেরই এই সরকার হিসেবে দেখতে চান ।
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট বিভাগের মেধাবী ছাত্র মাসুদ রানা বলেন, বিষয়ভিত্তিক ও দক্ষতা অনুযায়ী তরুণদের জন্য কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা, যোগ্যদের যথাযথ মূল্যায়ন, খাদ্যের পুষ্টিগুণ রক্ষা, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমনে আইনের কঠোর প্রয়োগ এবং ব্যাংক খাতে অব্যবস্থাপনা দূর করে শৃঙ্খলা আনয়নের প্রতিশ্রুতি এবং যে দল এ কাজগুলো বাস্তবায়ন করতে পারবে এবং স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তি এমন একটি দলকে সরকার হিসেবে দেখতে চান।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্র মহিন উদ্দিন বলেন, যে দল মহান জাতীয় সংসদে তরুণদের প্রতিনিধিত্ব,চাকরিতে বয়সসীমা বৃদ্ধি,শিক্ষা খাতে জিডিপির ১৫ শতাংশ বরাদ্দ সর্বোপরি গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ রক্ষা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ পরিচালনার অঙ্গীকার চান ।
আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে আত্মনির্ভরশীল জাতি হিসেবে আমরা যেন মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারি তার সুস্পষ্ট পররাষ্ট্র নীতি গ্রহণ করবে সে দল কেই আগামীতে সরকার হিসেবে দেখতে চান।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের ছাত্র মোহাম্মদ তারেক বলেন, যে দল মাদক ইয়াবা মুক্ত সমাজ ঘুষ ও দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন, নারীর নিরাপদ কর্ম ক্ষেত্রের নিশ্চয়তা, নিরাপদ সড়ক ও শিশু সুরক্ষা নীতির বাস্তবায়ন, সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নীতি এবং পরিবেশ বান্ধব উন্নয়ন নীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে সে দল কেই সরকার হিসেবে দেখতে চান।