ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ সিলেট অঞ্চলের কোথাও নেই আলাদা বার্ণ ইউনিট। কোটি বাসিন্দার এই অঞ্চলে আগুনে পোড়া জটিল রোগীদের পাঠাতে হয় ঢাকায়। ক্ষুদ্র পরিসরে ওসমানীর সার্জারি বিভাগে পোড়া রোগীর চিকিৎসা হলেও অপারেশন থিয়েটারের স্বল্পতায় যথাসময়ে করা যায়না অপারেশন। এতে রোগীদের জটিলতা বাড়ছে।
সিলেট বিভাগের পাশাপাশি নেত্রকোনা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার রোগীরাও চিকিৎসা নিতে আসেন ওসমানী মেডিকেলে। বিশাল এই জনগোষ্ঠীর জন্য সার্জারি ওয়ার্ডে মাত্র ৮টি বেড রাখা আছে আগুনে পোড়া রোগীদের জন্য। ছোট এই ইউনিটে উপর নীচে রোগী আর রোগী। জায়গা হচ্ছেনা কোথাও। ওসমানীতে বার্ণ ইউনিট না থাকায় পোড়া রোগীদের অপারেশনের জন্য নেই আলাদা ওটি। হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারে সপ্তাহে মাত্র একদিন এই রোগীদের অপারেশন করা হয়। তাই যথাসময়ে করা যায়না অপারেশন। ফলে বাড়ছে জটিলতা, সেই সাথে বাড়ছে রোগীর জটলাও।
এখানে পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধা না থাকায় একটু জটিল রোগী আসলেই পাঠিয়ে দেখা হয় ঢাকায়। সম্প্রতি গোলাপগঞ্জে গ্যাসের আগুনে পোড়া বাবুল মিয়ারও ঠাঁই হয়নি এই হাসপাতালে।বজ্রপাত, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট, গ্যাগলাইনে আগুন ও রাজনৈতিক দ্বন্দ্বে এ অঞ্চলে দিনে দিনে বাড়ছে পোড়া রোগির সংখ্যা। ১শ’ বেডের বার্ণ ইউনিট স্থাপনের প্রস্তাব পাঠালেও এখনো আলোর মুখ দেখেনি। আগুনে পোড়া চিকিৎসার জন্য ওসমানীতে ডাক্তার মাত্র দু’জন। সংশ্লিষ্ট বিভাগে চিকিৎসক স্বল্পতার কারণে সার্জারি বিভাগের ডাক্তাররাও বার্ণের রোগীদের চিকিৎসা দিচ্ছেন।