খালেদা জিয়ার আজকের রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে গতকাল থেকে পর্যটক শূন্য হয়ে পড়েছে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতের শহর কক্সবাজার। ব্যবসায়ীরা বলছেন, আতঙ্কে সফর সংক্ষিপ্ত করে কক্সবাজার ছেড়েছেন পর্যটকরা। এতে পর্যটন মৌসুমে লোকসানে পড়েছেন তারা। তবে, পুলিশের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা পুলিশ। নভেম্বর থেকে কক্সবাজারে পর্যটন মৌসুম শুরু হয়; যা চলবে আগামী এপ্রিল মাস পর্যন্ত। সে হিসেবে প্রতিদিনই কমবেশি পর্যটকে ভরপুর থাকে পর্যটন নগরী কক্সবাজার।
কিন্তু হঠাৎ করে খালেদা জিয়ার মামলার রায়কে কেন্দ্র করে এখন পর্যটক শূন্য কক্সবাজার সৈকত। খালেদা জিয়ার রায়কে কেন্দ্র করে আতঙ্ক বিরাজ করায় কক্সবাজার ছেড়েছেন পর্যটকরা। আর এতে খালি হয়ে গেছে হোটেল-মোটেল গেস্ট হাউস ও কটেজগুলো। এছাড়া আগাম বুকিং বাতিল হয়েছে ৫০ শতাংশ।
পর্যটন মৌসুমে হঠাৎ করে আশাতীতভাবে পর্যটক শূন্য হয়ে পড়ায় ব্যবসায়ীরা লোকসানের মুখে পড়বে বলে মনে করছেন হোটেল গেস্ট হাউস মালিক সমিতির এ নেতা।
হোটেল গেস্ট হাউস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম সিকদার বলেন, ‘এ মুহূর্তে আমার জানামতে ৫০০০ এর বেশি পর্যটক নেই। খালেদা জিয়ার রায়কে কেন্দ্র করে ভয়ে এ অবস্থা হয়েছে।’
তবে জেলা পুলিশের এ কর্মকর্তা জানালেন, পর্যটকদের কথা চিন্তা করে কক্সবাজারে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আফরুজুল হক টুটুল বলেন, ‘ফাইভস্টার হোটেলগুলোতে দেশি ও বিদেশি পর্যটকদের সুরক্ষায় গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করা হয়েছে। এছাড়া বিচেও করা নিরাপত্তার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। হোটেল মালিকদের দেয়া তথ্য মতে, পর্যটন মৌসুমে ছুটির দিনগুলোতে প্রতিদিনই কক্সবাজারে ভ্রমণে আসেন লক্ষাধিক পর্যটক।