স্টাফ রিপোর্টারঃ
নীলফামারীর ডিমলা পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা অবহেলায় শিশুর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার সকালে ঝুনাগাছ চাপানি ইউনিয়নের দক্ষিণ সোনাখুলি হাজিপাড়া গ্রামের এ ঘটনায় কন্যা শিশুটির মা সীমা আক্তার বার বার সঙ্গা হারিয়ে ফেলেছে। অভিযোগ উঠেছে প্রভাবশালী পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা রিনা বেগমের কারনে পরিবারটি অভিযোগ দিতে পারছে না। শিশুটির লাশ শুক্রবার দুপুরে দাফন করা হয়।শিশুটির লাশ দাফন না হওয়া পর্যন্ত নাউতরা ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের পরিদর্শিকা রিনা বেগম সে বাড়ীতে অবস্থান করেন। জানা যায়, ঝুনাগাছ চাপানি ইউনিয়নের হাজিপাড়ার সুলতান ও সীমা দম্পতির প্রথম সন্তান মৃত্যুর পর ঘটনাটি কাউকে অভিযোগ না করার জন্য রিনা বেগম ও তার স্বামী গ্রাম ডাক্তার আব্দুল গাফ্ফার লেবু সেখানে অবস্থান করেন।জানা যায়, শুক্রবার ভোরে সুলতানের স্ত্রী সীমা আক্তারের প্রসব বেদনা উঠলে সেখানে রিনা বেগম গিয়ে সন্তান প্রসবের চেষ্টা করেন। রিনা বেগমের হাতের আঙ্গুলে আঘাতে শিশুটির মৃত্যু হলে ঘটনাটি ভিন্নখাতে প্রকাশ করে বলেন সন্তাননটি ১দিন আগেই মৃত্যু বরন করেছিল। সরকারী প্রতিটি ইউনিয়নের পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র স্থাপন করলেও রিনা বেগম নাউতরায় নিয়মিত চাকুরী না করে ঝুনাগাছ চাপানি ইউনিয়ন পরিবার কল্যান কেন্দ্রে সংলগ্ন প্রাইভেট চেম্বার খুলে বসেন। ঝুনাগাছ চাপানি ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুর রহমান বলেন, গত ৩ বছর আগে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির কারনে রিনা বেগমকে ঝুনাগাছ চাপানি থেকে দিনাজপুরে ঘোরাঘাট উপজেলার পালসা ইউনিয়নে বদলি করা হয়েছিল। কিন্তু বদলির ১ বছরের মধ্যে রিনা বেগম পাশ্ববর্তী নাউতরা ইউনিয়নে বদলি নিয়ে আসলেও সব সময় ঝুনাগাছ চাপানি চেম্বার নিয়ে বসবাস করেন। সুলতানের ভাই গ্রাম্য হোমিও ডাক্তার মাহাবুব হোসেন বকুল বলেন, রাতে প্রসব বেদনা আসলে রিনা বেগমকে মোবাইলে বলা হলে তিনি বলেন বাড়ীতে রাখেন আমি আসতেছি।পরে ভোর রাতে তার স্বামী গ্রাম্য ডাক্তার লেবুসহ সেখানে যায়। রিনা বেগম ২ ঘন্টার চেষ্টার পর সন্তানটির মৃত্যু আগে হয়েছে মর্মে জানায়। তার ভাবীর প্রথম সন্তান মৃত্যু হওয়ার বার বার জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। নাউতরা ইউনিয়ন পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা রিনা বেগম বলেন, আমি সুলতানের বাড়ীতে রাত সাড়ে ৪টার দিকে যাই সাড়ে ৭টায় তার স্ত্রী সীমা বেগমের মৃত্যু কন্যা সন্তান প্রসব করেন। আগের দিনে সন্তানটির মৃত্যু হয়েছিল আমি মৃত্য সন্তান টি প্রসব করেছিলাম। ডিমলা উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কল্যান কর্মকর্তা হাসীণ আকন্দ বলেন বিষয়টি আমার জানা নেই অভিযোগ আসলে বিষয়টি তদন্ত করা হবে। রিনা বেগমের প্রাইভেট চেম্বাররের প্রসঙ্গে বলেন বিষয়টি তদন্ত করব।