ভারতীয় পেঁয়াজের আমদানি মূল্য কমলেও এর প্রভাব পড়েনি দেশীয় বাজারে। বরং সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতিকেজি পেয়াজের দাম বেড়েছে ৮ থেকে ১০ টাকা। এর কারণ হিসেবে ভারত পেঁয়াজের রপ্তানি মূল্য কমালেও ডলারের মূল্য বেড়ে যাওয়াকে দায়ী করছেন আমদানিকারকরা। দেশে এখন পেঁয়াজের ভরা মৌসুম। নতুন পেঁয়াজ বাজারে উঠতে শুরু করলেও আমদানি করা পেঁয়াজের দাম কমেনি। গত সপ্তাহে হিলি বন্দরে ভারতীয় প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৪০ থেকে ৪২ টাকায়। আর এ সপ্তাহে কেজিতে ৮ থেকে ১০ টাকা বেড়ে এক কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪৮ থেকে ৫০ টাকায়। আমদানি না বাড়লে আগামী মাসে দাম আরো বাড়বে বলে আশঙ্কা পাইকারি ব্যবসায়ীদের।
পাইকারি ব্যবসায়ীরা জানান, ‘সাত দিনের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম ৮-১০ টাকা বেড়েছে। এতে আমাদের ব্যবসার ক্ষতি হচ্ছে। এলসি’র বিপরীতে ভারত টন প্রতি ৮৫২ থেকে দেড়’শ মার্কিন ডলার কমালেও এর প্রভাব পড়েনি বন্দর বাজারে। বাজার স্বাভাবিক রাখতে ভারত সরকারকে এলসিতে আরো মূল্য কমানোর দাবি আমদানিকারকদের। হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারক সেলিম রেজা বলেন, ‘আশানুরূপ ন্যাপিডেট কমানো হয় নি সেজন্য আমদানিকারকরা নিরুৎসাহিত হয়ে মাল আমদানি কমিয়ে দিয়েছে।’
হিলি কাস্টমস জানায়, প্রতিদিন এ বন্দর দিয়ে ৯’শ থেকে ১২’শ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হলেও, এখন তা কমে দাঁড়িয়েছে ২’শ থেকে ৩’শ মেট্রিক টনে।