দিনাজপুর প্রতিনিধিঃ
ফুটফুটে শিশু সাইফা জান্নাতের বয়স মাত্র ১৪ মাস! এর মধ্যেই হার্ডের ভেতরের একটি ভাল্ব এর মধ্যে ফুটো হয়েছে। চিকিৎসক বলেছিলেন, জম্মের পর এরকম সমস্যা অনেক শিশুর ক্ষেত্রেই হয়ে থাকে। কিন্তু ১৪ মাস পর জানা গেলো সাইফা জান্নাত একটি সমস্যা নয় বরং একই সাথে তিনটি বড় ধরণের সমস্যা নিয়ে পৃথিবীতে এসেছে! যা বাংলাদেশের চিকিৎসকরা বিরল ঘটনা বলে আখ্যায়িত করেছেন।
শিশু সাইফার বাবা সোহেল পারভেজ দিনাজপুর প্রেসক্লাবের অফিস সহায়কের কাজ করেন। প্রেসক্লাব থেকে যতটুকু সম্মানী পান তা দিয়ে সংসারই চলে না! তার উপর সন্তানের জটিল রোগের অপারেশনের জন্য চিকিৎসকরা পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে নিয়ে যেতে বলেছেন অপারেশেনর জন্য।
সন্তানকে বাঁচাতে বাবা সোহেল পারভেজ হাত পেতেছেন সমাজের অনেকের কাছেই! কিন্তু খরচের পরিমান বেশি হওয়ায় এখন পর্যন্ত ভারতে নিয়ে যেতে পারছেন না। তাই বিত্তবানদের কাছে করজোড়ে অনুরোধ জানিয়েছেন নিজের সন্তানের চিকিৎসায় আর্থিক সহযোগিতার জন্য।
সাইফাইর বাবা সোহেল পারভেজ জানান, আমার ১৪ মাসের শিশু সন্তান একসাথে তিনটি জটিল রোগ নিয়ে জন্মগ্রহণ করেছে। বাংলাদেশে অনেক চিকিৎসককে দেখিয়েছি। কিন্তু কোন কাজ হয়নি। বাংলাদেশের চিকিৎসকরা পরামর্শ দিয়েছেন ভারতের ডা. দেবী শেঠীকে দেখানোর জন্য। ডা. দেবী শেঠী স্যারও ভিডিও কলের মাধ্যমে আমার মেয়েকে দেখেছেন ও রির্পোট গুলো দেখেছেন। এখন তিনি বলেছেন, এই রোগের দ্রুত অপারেশন করাতে হবে। আমি দিনাজপুর প্রেসক্লাবে অফিস সহায়ক হিসেবে কর্মরত আছি। আমার জায়গ-জমি কিছুই নাই। যতটুকু সম্বল ছিল সব বিক্রি করেছি ইতোমধ্যেই। এখন আমার সন্তান সাইফা জান্নাতের জন্য সমাজের বিত্তবান মানুষের কাছে অনুরোধ করছি, আপনারা একটু এগিয়ে আসুন। আমার ফুটফুটে শিশুটিকে বাঁচানোর জন্য। তাছাড়া আমার আর কোন উপায় নাই।”
সোহেল আরও বলেন, “দিনাজপুরের কিছু মহান মানুষ আমাকে ৮০ হাজার টাকার মত সাহায্য তুলে দিয়েছেন। এখনো ৫ লাখ টাকার মত লাগবে। যদি কোন সহৃদয়বান ব্যক্তিরা এগিয়ে আসেন তাহলেই আমার সন্তানকে বাঁচানো সম্ভব হবে। আমার সন্তানকে সাহায্য করার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।
সোহেল পারভেজ-
অফিস সহায়ক,দিনাজপুর প্রেসক্লাব
বিকাশ ০১৭২৪১৬২২৫২ (পার্সোনাল)
অথবা, এক্সিম ব্যাংক,গনেশতলা শাখা, দিনাজপুর-
সঞ্চয় একাউন্ট নং-০৫৫১২১০০২২২১৫৬,
ও রূপালী ব্যাংক, সুইহারী শাখা, দিনাজপুর-
সঞ্চয় একাউন্ট নং-৪৬২২০১০০০৯৪০৩ ।