চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার ভাটিয়ারী ইউনিয়নের তেলিপাড়া এলাকায় সাদা পোশাকে থাকা পুলিশের গুলিতে তরুণ নিহত হওয়ার ঘটনায় দুই পুলিশ সদস্য ও এক আনসারকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
সাইফুল আলম (১৮) নামে ওই তরুণ নিহত হওয়ার ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার নূরে আলম মিনা।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে প্রত্যাহারকৃত তিন সদস্যকে চট্টগ্রামের পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সীতাকুণ্ড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইফতেখার হাসান।প্রত্যাহার করা পুলিশ সদস্যরা হলেন, সীতাকুণ্ড থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নাজমুল হুদা, কনস্টেবল আবুল কাসেম, আনসার সদস্য ইসমাইল হোসেন।
ঘটনাস্থলে থাকা মো. ফারুক হোসেন বলেন, তিনি ও তাঁর ভাই পারভেজ তেলিপাড়া এলাকায় একটি দোকানে টাকা ভাঙানোর জন্য দাঁড়িয়ে ছিলেন। এ সময় সাদা পোশাকে থাকা তিন পুলিশ তাঁর কাছে ইয়াবা আছে বলে দাবি করেন। পারভেজ বাধা দিলে তাঁকে মারধর করে গাড়িতে তোলার চেষ্টা করেন। তাঁদের চিৎকারে গ্রামবাসীরা বের হয়ে এসে পুলিশের কাছে গ্রেপ্তার করার কারণ জানতে চায়। কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে সাইফুল আলমের জামার কলার টেনে ধরে খুব কাছ থেকে তার কাঁধে গুলি করে এসআই নাজমুল হুদা। এতে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে দৌড়াদৌড়ি শুরু হয়। পরে পুলিশের বাকি দুই সদস্যরাও গুলি ছুড়তে ছুড়তে মহাসড়কে উঠে পালিয়ে যায়।
সকালে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, স্থানীয় বাসিন্দারা সেখানে জড়ো হয়েছেন। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন, চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার নূরে আলম মিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (উত্তর) মশিউদ্দৌলা রেজা, সীতাকুণ্ড সার্কেলের পুলিশ সুপার রেজাউর রহমান। ঘটনার পর রাতে ওই এলাকায় যান সীতাকুণ্ডের সাংসদ দিদারুল আলমসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।
তদন্ত কমিটিতে থাকা সীতাকুণ্ড সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রেজাউর রহমান বলেন, বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। পুলিশের গাফিলতি আছে কি না তা খুঁজে বের করা হচ্ছে। পুলিশের গাফিলতির প্রমাণ পেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ওসি ইফতেখার হাসান বলেন, গতকালের ঘটনায় নিহতদের পক্ষ থেকে মামলা দিতে চাইলে তা নেওয়া হবে। তাঁরা কেউ এখনো মামলা করেনি।