আকরাম খান ইমন, ববি প্রতিনিধি
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) এক নারী শিক্ষকের পদন্নোতি রুখতে অন্য আরেকজন শিক্ষক প্রচেষ্টা চালিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। পদোন্নতি পেতে যাওয়া ওই নারী শিক্ষকের নাম হোসনে আরা ডালিয়া। তিনি প্রতিষ্ঠানটির লোক প্রশাসন বিভাগের লেকচারার (প্রভাষক) হিসেবে নিযুক্ত আছেন। পদোন্নতি বন্ধের প্রচেষ্টা সামনে এলে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন প্রতিষ্ঠানটির অন্যান্য শিক্ষকসহ প্রশাসন প্রধানেরা।
জানা গেছে, লোক প্রশাসন বিভাগের ওই শিক্ষক গত সাড়ে পাঁচ বছর যাবৎ একই পদে (লেকচারার) রয়েছেন। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি) ও বিশ্ববিদ্যালয়ের যে নীতিমালা রয়েছে তাতে তিন বছর লেকচারার হিসেবে চাকরি করার পর একজন শিক্ষক পদোন্নতি প্রাপ্তির যোগ্য হবেন। সে হিসেব অনুযায়ী প্রায় আড়াই বছর যাবৎ তাঁর (ডালিয়া) পদোন্নতি আটকে আছে। নবনিযুক্ত উপাচার্য ড. মো. ছাদেকুল আরেফিন দায়িত্ব নেবার পর দ্রুত সকল যোগ্য শিক্ষকদের পদোন্নতি দেবার জন্য বোর্ড গঠনের সিদ্ধান্ত হয়।
সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গত রোববার থেকে শিক্ষকদের পদোন্নতিমূলক বোর্ড বসায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। যেহেতু হোসনে আরা ডালিয়া সবচেয়ে জেষ্ঠ্য ও নীতিমালা অনুযায়ী পদোন্নতি পাবার যোগ্য তাই তাকে দিয়েই বোর্ড শুরু করার সিদ্ধান্ত নেয় কর্তৃপক্ষ। কিন্তু অভিযোগ উঠেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির এক সাবেক সভাপতির সঙ্গে ব্যক্তিগত শত্রুতা থাকায় ওই শিক্ষক নেতা তার (ডালিয়া) বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু করে। এক সময়কার ক্ষমতাধর ওই শিক্ষক নেতা জেদের বর্শবর্তী হয়ে স্থানীয় কিছু অনলাইন সংবাদমাধ্যমে হোসনে আরা ডালিয়ার পদোন্নতি প্রশ্নবিদ্ধ বলে প্রচার শুরু করেন।
এসময় হোসনে আরা ডালিয়া ‘নারী শিক্ষিকা’ বিধায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কারো কারো ‘বিশেষ সুবিধা’ পেয়েছে বলে উক্ত সংবাদ মাধ্যমে দাবি করা হয়। এ ধরনের প্রচারণা অবমাননাকর ও মিথ্যা বলে আখ্যা দিয়ে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমাজ প্রতিবাদ শুরু করে। ইতোমধ্যে সেখানকার সকল নারী শিক্ষক ওই সকল সংবাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ লিপি তৈরি করে তাতে গণস্বাক্ষর কার্যক্রম শুরু করেছে। এছাড়া ভুক্তভোগী শিক্ষক নিজে আইনত ব্যবস্থা গ্রহণের কথাও জানিয়েছেন।