আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি দ্রুত নিয়ন্ত্রণে অবশেষে চট্টগ্রাম জেলার ১৬টি উপজেলায় নতুন করে আরও ৮টি থানা করার প্রস্তাব করেছে পুলিশ প্রশাসন। বর্তমানে হাটহাজারী থানার অধীনে থাকা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য হবে স্বতন্ত্র একটি থানা। পাশাপাশি সীতাকুন্ড এবং আনোয়ারায়’ পৃথক দু’টি মিনি পুলিশ লাইন স্থাপনেরও উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। উপজেলাগুলোর আয়তনের পাশাপাশি জনসংখ্যাবেশির কারণে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে,পুলিশ হেডকোয়ার্টারে এমন প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন শীর্ষ পুলিশ কর্মকর্তারা।
দু’হাজার বর্গমাইলের চট্টগ্রাম জেলায় ১৬টি উপজেলার লোকসংখ্যা ৯০ লাখের বেশি। যে কারণে উপজেলাগুলোতে একটি থানা পুলিশ দিয়ে কোনোভাবেই আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ রাখা সম্ভব হচ্ছে না। চট্টগ্রাম জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (দক্ষিণ) এমরান হোসেন ভূঁইয়া বলেন, এখানকার থানাগুলোকে প্রশাসনিক থানায় বিন্যস্ত করা গেলে জনগণের কাঙ্ক্ষিত সেবা দেয়া সম্ভব।
এ অবস্থায় বিদ্যমান উপজেলাগুলো থেকে ভেঙে নতুন করে আটটি থানার একটি প্রস্তাব পুলিশ হেডকোয়ার্টারে পাঠিয়েছে জেলা পুলিশ। প্রস্তাবনা অনুযায়ী, উত্তর চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার অংশ নিয়ে দক্ষিণ রাউজান থানা, রাঙ্গুনিয়ার অংশ নিয়ে দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়া, হাটহাজারীর অংশ নিয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, সীতাকুন্ডের অংশ নিয়ে ভাটিয়ারী, ফটিকছড়ির অংশ নিয়ে মাইজভান্ডার থানা এবং দক্ষিণ চট্টগ্রামের পটিয়ার অংশ নিয়ে কালারপোল, বাঁশখালীর অংশ নিয়ে পশ্চিম বাঁশখালী এবং সাতকানিয়া ও চন্দনাইশের অংশ নিয়ে দোহাজারী সাঙ্গু থানা করা হবে।
চট্টগ্রাম জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) রেজাউল মাসুদ বলেন, আমরা এখানে দুটি মিনি পুলিশ লাইন করার চেষ্টা করছি। যদি সেটা হয় তবে আরও সহজেই মানুষকে সেবা প্রদান করা সম্ভব হবে।
সরকারের প্রবর্তিত ৯৯৯ পদ্ধতি দ্রুত বাস্তবায়ন এবং অপরাধ দমনে প্রস্তাবিত এই আটটি থানা কুইক রেন্সপন্সের কাজ করবে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার নূরে আলম মিনা। প্রয়োজনীয় মুহুর্তে নগরীর হালিশহরের বর্তমান পুলিশ লাইন থেকে উপজেলাগুলোতে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সমস্যা হওয়ায় উত্তর চট্টগ্রামের সীতাকুন্ড এবং দক্ষিণ চট্টগ্রামের আনোয়ারায় আরও দু’টি মিনি পুলিশ লাইন স্থাপনেরও প্রস্তাব করা হয়েছে।