রাতে সবাই যখন ঘুমাতে যাব, তখন চুলায় গ্যাস আসে। তখন কি আর রান্নার অবস্থা থাকে? এক দিন রান্না করে দু-তিন দিন খাই। গোসল করি দুদিন পরপর। কারণ, এই ঠান্ডায় পানি গরম করার কোনো উপায় থাকে না। বলছিলেন রামপুরার উলন রোডের বাসিন্দা রীনা রহমান। গ্যাসের বিকল্প হিসেবে তিনি বাধ্য হয়ে রাইস কুকার আর কারি কুকারে রান্না করেন। আর আগের রান্না করা খাবার গরম করে খান।
রীনা রহমান জানান, পাশেই আরেকটি গলিতে তাঁর বোন বিউটি আক্তারের বাসা। সেখানে সারা বছর গ্যাস প্রায় থাকে না বললেই চলে। গ্রীষ্মেও চুলায় আগুন জ্বলত মিটমিট করে। শীতে এক সপ্তাহ ধরে এই সংকট আরও বেড়েছে। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় বাসাবাড়িতে এ রকম গ্যাস–সংকট চলছে শীতের মৌসুমে।
মধ্য বাড্ডার সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘১৫ দিন ধরে সকালে অফিসে যাওয়ার আগে বাসায় গ্যাসের চুলায় রান্না বা নাশতা তৈরি করা হচ্ছিল না। এরপর একটি বৈদ্যুতিক ইনডাকশন কুকার কিনেছি। গ্যাসের বিলও দিচ্ছি, আবার বেশি বেশি বিদ্যুৎ বিলও দিচ্ছি। এভাবে কত দিন চলবে?