স্থানীয় সরকারের নির্বাচন হলেও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের উপ নির্বাচন বাড়তি গুরুত্ব পাচ্ছে প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের কাছে। জাতীয় নির্বাচনের আগে রাজধানীতে প্রতীকের এই লড়াই রাজনৈতিক দলগুলোর পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনের জন্যও সমান চ্যালেঞ্জ বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। আর সবশেষ অনুষ্ঠিত হওয়া দুই সিটি নির্বাচনের মত এবারো নিজেদের সাফল্যের ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে বলেই মনে করে নির্বাচন কমিশন।
সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ফেব্রুয়ারির শেষ সপ্তাহেই হতে যাচ্ছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের উপ নির্বাচন। এরই মধ্যে এ নির্বাচন নিয়ে তোড়জোর শুরু হয়ে হয়ে গেছে প্রধান দুই রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ, বিএনপিতে।
স্থানীয় সরকার পর্যায়ের নির্বাচন হলেও জাতীয় নির্বাচনের আগে নৌকা ধানের শীষের এই লড়াই একটু বাড়তি গুরুত্ব পাচ্ছে তাদের কাছে।
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘স্থানীয় সরকার নির্বাচন হলেও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের নির্বাচন অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ। এই নির্বাচনে জয়ের মধ্যে দিয়েও আগামী নির্বাচনে গনগণের দৃষ্টি পড়বে।’
বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু বলেন, ‘স্থানীয় বা জাতীয় যাই বলেন, মূল কথা হচ্ছে নির্বাচন ব্যবস্থা যেটা ভেঙে পড়েছে, জনগণের আস্থা ভেঙে পড়েছে সেটার তো কিছু হচ্ছে না।’
নির্বাচন বিশ্লেষকরা বলছেন, জাতীয় নির্বাচনের বছর রাজধানীর মত জায়গায় এ নির্বাচন শুধু রাজনৈতিক দলই নয় বড় পরীক্ষা নির্বাচন কমিশনের জন্যও।
সাবেক নির্বাচন কমিশনার সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘আমরা ধরে নিচ্ছি যে আগামী নির্বাচন স্বচ্ছ হবে। নির্বাচন কমিশনের যতখানি ক্ষমতা আছে সব যদি প্রয়োগ করে তাহলে নির্বাচন ভালো হবে।’
কুমিল্লা আর রংপুরের পর এ নির্বাচনেও নিজেদের সাফল্য ধরে রেখে সক্ষমতার প্রমাণ দিতে চায় নির্বাচন কমিশন।
নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানম বলেন, ‘এর আগের নির্বাচন গুলোয় আমরা যে কর্মপন্থা অবলম্বন করেছি সেই পন্থায় আগামী নির্বাচনগুলো করবো।’
উত্তর সিটি করপোরেশনে নতুন করে অন্তর্ভুক্ত হওয়া ১৮ ওয়ার্ডের পাশাপাশি একই দিনে অনুষ্ঠিত হবে দক্ষিণের নতুন ১৮ টি ওয়ার্ডরে নির্বাচন।