বছরের বেশির ভাগ সময় বৃষ্টি আর নানা প্রতিকূলতা থাকা সত্ত্বেও চাঁদপুরে এবার রোপা আমনের ব্যাপক ফলন হয়েছে। ইতোমধ্যে জমি থেকে ধান কাটা শুরু হয়েছে। হেক্টর প্রতি ফলনও লক্ষ্যমাত্রার কাছাকাছি হওয়ায় সন্তুষ্ট কৃষি বিভাগ। উৎপাদন ভাল হলেও ধানের বাজার দর নিয়ে শঙ্কিত কৃষকরা।
বছরজুড়ে বৃষ্টি ছিল, তারপরও হতাশা ভর করেনি কৃষকদের। প্রকৃতির এমন বৈরিতা কাটিয়ে আশা নিয়ে তারা জমিতে রোপণ করেছিলেন রোপা আমন। কিন্তু শেষ মুহূর্তের বৃষ্টিতে কিছুটা শঙ্কায় ছিলেন কৃষকেরা।
তবে সব অনিশ্চয়তা কাটিয়ে অবশেষে সেই ধান সোনালী আভায় পূর্ণতা পেয়েছে। তাই চারদিকে এখন পাকা ধানের মৌ মৌ গন্ধ। আর এমনই পরিবেশে চাঁদপুরের বিস্তীর্ণ ফসলী মাঠে চলছে ধান কাটার উৎসব।
চলছে মাড়াই এবং শুকানোর কাজও। ফসলের মাঠে এমন উৎসবে কৃষকের সাথে যোগ দিয়েছেন নারীরাও। তবে নানা বাধা পেরিয়ে ফলন ভালো হলেও বাজারে ধানের ন্যায্য দাম নিয়ে রয়েছেন শঙ্কায় কৃষকেরা।
তারা বলেন, ‘ন্যায্য দাম পেলে কৃষক বাঁচবে আর না হয় কৃষক এবার মারা যাবে।’
চাঁদপুরে রোপা আমনের দুটি জাতের ধানের ফলন হয়েছে। এতে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়েছে বলে মনে করে কৃষি বিভাগ।
চাঁদপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর অতিরিক্ত উপপরিচালক মো. জাকির হোসেন বলেন, ‘যা ফলন হয়েছে তাতে কৃষক ভাইয়েরাও সন্তুষ্ট আমরাও সন্তুষ্ট।’
চাঁদপুরে এবারে প্রায় ২৫ হাজার হেক্টর জমিতে দুই জাতের রোপা আমন ধানের চাষ হয়েছে। এরমধ্যে হেক্টর প্রতি উৎপাদন হয়েছে প্রায় তিন মেট্রিক টন।