পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ঠাকুরগাঁও বাসীকে শুভেচ্ছা জানান জেলা প্রশাসক ডঃ কেএম কামরুজ্জামান সেলিম।
সেই সাথে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস বিস্তাররোধে ও করোনা ভাইরাস প্রাদুর্ভাবের কারণে জনসমাগম এড়াতে ও সামাজিক ও শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার লক্ষ্যে রমজানের তারাবির নামাজে ১২ জনের অধিক মসজিদে আদায় না করার অনুরোধ ও ইফতারির দোকান না বসানোর নির্দেশ প্রদান করেন জেলা প্রশাসক ড: কেএম কামরুজ্জামান সেলিম।
আসন্ন পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে এক বিজ্ঞপ্তিতে তিনি জানান, এশার জামাতে ইমাম, মুয়াজ্জিন, খতিব, খাদেম ও ২জন হাফেজ সহ সর্বোচ্চ ১২ জন অংশগ্রহণ করতে পারবেন।
এশার জামাত শেষে এ ১২ জনই তারাবীহ’র নামাজ আদায় করতে পারবেন। অন্যান্য মুসল্লিগণ নিজ নিজ ঘরে এশার নামাজ ও তারাবীহ’র নামাজ আদায় করবেন।
সকলেই তেলোয়াত, যিকির ও দু’আর মাধ্যমে মহান রাব্বুল আলামিনের কাছে করোনা ভাইরাস থেকে মুক্তি ও রহমত নাযিল এর জন্য প্রার্থনা করবেন।
প্রত্যেকের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান ইফতার মাহফিলের আয়োজন বা যোগদান করতে পারবেন না।
এছাড়া তিনি আরও বলেন, উল্লেখিত নির্দেশনা লঙ্ঘিত হলে স্থানীয় প্রশাসন আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ কারি বাহিনী সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বাধ্য হবে।
প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে স্থানীয় প্রশাসন আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারি বাহিনী , ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা কর্মচারী এবং সংশ্লিষ্ট মসজিদের পরিচালনা কমিটিকে
উল্লেখিত নির্দেশনা বাস্তবায়ন করার জন্য জানানো হলো।
যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে জনস্বার্থে এর নির্দেশ জারি করা হলো।
উল্লেখ্য বিশ্বব্যাপী প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস ভয়াবহ মহামারী আকার ধারণ করায় বাংলাদেশে যথাযথ সুরক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বর্তমান পরিস্থিতিতে মুসলিম জনসাধারণকে প্রতি ওয়াক্ত নামাজে ৫ (পাঁচ) জন এবং জুমার নামাজে সর্বোচ্চ ১০ (দশ) জন মুসল্লি নামাজ আদায়ের (৬ এপ্রিল) বিজ্ঞপ্তি বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
এছাড়া জেলা প্রশাসক ড:কেএম কামরুজ্জামান সেলিম বলেন, পূর্বের বিজ্ঞপ্তির ধারাবাহিকতায় এ নির্দেশনা জারি করা হয়। এ নির্দেশনা বাস্তবায়নে তিনি সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
নুরে আলম শাহ::ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি: