তৌহিদুল ইসলাম তুহিন,মেহেরপুর প্রতিনিধিঃ
করোনা ভাইরাসের আতঙ্ক এখন দেশ জুড়ে। ইতোমধ্যে দেশের সকল জেলাকে ঝুঁকিপূর্ন বলে ঘোষণা করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এরই মধ্যে ঝুঁকি নিয়ে অফিস করতে হচ্ছে ইউনিয়ন পরিষদে সচিব ও হিসাব সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটরদের। যদিও সরকার সকল অফিস আদালত ছুটি ঘোষণা করছে। শুধু তাই নয় সুরক্ষা বিহীন এ সকল অপারেটরদের কাজ করতে হচ্ছে মাঠে ময়দানে। ফলে সংশয় জেগেছে তারা কি পারবে করোনা ঝুঁকি এড়াতে? বাড়ছে সংক্রমনের ঝুঁকি।
নাম প্রকাশে একাধিক হিসাবরক্ষক ও জানান, বর্তমান বৈশ্যিক এ দূর্যোগে সরকার ত্রান পৌঁছে দিচ্ছে ভূক্তভোগী পরিবারের বাড়িতে বাড়িতে। এসব অসহায়দের তালিকা প্রস্তুতে ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্যদের সহযোগীতায় তালিকা করছেন তারা। বিশেষ করে দুঃস্থ অসহায় রিক্সা চালক, ভ্যান চালক, সি এন জি চালক, পরিবহন শ্রমিক, কর্মহীন দিনমুজুর, ফেরিওয়ালা, প্রতিবন্ধী, বেঁদে, হিজড়া, ভিক্ষুক, কৃষি শ্রমিক, মৎসজীবি, রেস্টুরেন্ট হোটেল শ্রমিক, চায়ের দোকানদারও অন্যান্য উপকার ভোগীদের তালিকা তাদেরই নেজেদের তৈরি করতে হচ্ছে। তাছাড়া জরুরী ত্রাণ, কার্যক্রম হিসেবে ভি.জি.এফ, ভিজিডি, জি.আর চাল উত্তোলণ, গুদামজাতকরণ ও বিতরণ কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন। এসব উপকারভোগীদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে তাদের হাতে ত্রান পৌঁছে দিতে হচ্ছে। অথচ এ কাজ করার জন্য দেওয়া হয়নি কোন পিপি, গøপ্স, মাস্ক। ফলে পদে পদে তাদের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করতে হচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরো কয়েকজন হিসাব রক্ষক জানান, সরকারী কাজে করতে তাদের কোন বাঁধা নেই। দেশের এ দূর্যোগ মহুর্তে অসহায়দের পাশে দাঁড়াতে পেরে তারা খুশি। কিন্তু সুরক্ষ বিহীন কতদিন এ কাজ আমরা চালিয়ে যেতে পারবো। এভাবে চলতে থাকলে নিজেরাই করোনা আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা থেকেই যাচ্ছে। বিষয়টি কতৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করছি।
জেলা প্রশাসক আতাউল গনি জানান, দ্রæত জেলার সকল হিসাব সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটরদের সুরক্ষার জন্য মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, গøপ্স দেওয়া হবে। যাতে সুরক্ষা নিয়ে তারা মাঠে ময়দানে কাজ করতে পারে।