সুজন রাজশাহী প্রতিনিধি:
রাজশাহী তানোর উপজেলার কলমা ইউনিয়নের পিঁপড়া কান্না গ্রামে সাবেক মেম্বার রফিকুল ইসলাম এর ছেলে জাহাঙ্গীর আলম ও পলাশ এর সন্ত্রাসী বাহিনী, মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন, পিতা মৃত ফয়েজ উদ্দিন, শাফিউল ইসলাম, পিতা কছিম উদ্দিন, আজাহার আলী পিতা জসিম উদ্দিন সহ গ্রামবাসীর উপর পুকুরকে কেন্দ্র করে অতর্কিত ভাবে হামলা চালায়।
স্হানীয় সূত্রে সরজমিনে জানা যায় জাহাঙ্গীর একটি খাস পুকুর লিজ নিয়ে মাছ চাষ করে। আর সেই পুকুরের পাশে রুবেল নামের এক ব্যক্তির ব্যক্তি মালিকানাধীন জমি লিজ নেন মোহাম্মদ নাজিম। পুকুর ও জমির মাঝখানে কোন বাঁধ না থাকায় বর্ষা মৌসুমে খাস পুকুর পানিতে ভরে গেলে পাশের ব্যক্তি মালিকানাধীন নাজিমের লিজ নেওয়া জমিটিও পানিতে ডুবে খাসের সাথে পুরোটাই পুকুরে পরিনত হয়। যার ফলে নাজিমের জমিতে বর্তমানে পানি শুকিয়ে যাওয়ায় নাজিম কয়েক জনকে নিয়ে পুকুর ও জমির মাঝখানে মাটি দিয়ে আইল বা বাঁধ নির্মাণের কাজ করে। কাজ করতে করতে রাত লেগে যায়। এমতাবস্থায় জাহাঙ্গীর ও পলাশ তার দলবল নিয়ে নাজিম সহ তার কাজের লোকের ওপর অতর্কিত হামলা চালায় এবং এলোপাথাড়ি ভাবে মারধর করে। চিৎকারে এলাকাবাসী এগিয়ে গেলে তাদের ওপরেও হামলা চালায় ও মহিলাদের খারাপ ভাষায় গালিগালাজ করে এবং তারা নাজিম উদ্দিনকে মাছ চুরির অপবাদ দিয়ে বেধড়ক মারধর করে। এক পর্যায়ে মাছ চুরির কোন প্রমাণ না করতে পারায় গ্রাম বাসির সহযোগিতায় তারা প্রানে ফিরে আসে।
এবিষয়ে নাজিমকে মারার কারণ জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, আমার লিজ নেওয়া জমিতে যদি বাঁধ দিতে না পারি তাহলে বর্ষা মৌসুমে পুরোটাই পুকুরে পরিনত হবে। ফলে তারা পুরোটাই দখল করবে তাই বাঁধ দিতে দিবে না বলে জাহাঙ্গীরের সন্ত্রাসী বাহিনী আমাকে সহ আমার কাজের লোকদের মারধর করে মাছ চোর বলে আটকিয়ে রাখে। এক পর্যায়ে আমি আমার গ্রামবাসির সহযোগিতায় প্রানে বেঁচে আসি।
এবিষয়ে জাহাঙ্গীরের সাথে ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভয়ে এক প্রতিবন্ধী ছেলে গ্রাম ছেড়ে পালিলে তাকে এখনও খুঁজে পাওয়া যায়নি।
নাজিমকে মারধরের পরেও জাহাঙ্গীর বাহিনী শান্ত হয়নি। নাজিমকে মারধরের ঘটনায় গ্রামবাসী নাজিমের পক্ষ নিয়ে তাকে উদ্ধার করায় পরের দিন নেশা করা অবস্থায় জাহাঙ্গীরের সন্ত্রাসী বাহিনী দেশীয় ধারাল অস্ত্র ও লাঠিসোটা নিয়ে গ্রাম বাসির ওপর অতর্কিত ভাবে আবাও হামলা চালায়ে ভাংচুর ও মহিলা পুরুষদের মারধর করে। এ বিষয়ে ত্রিপুল নাইন ৯৯৯ নাম্বারে ফোন দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসার আগেই তারা পালিয়ে যায়। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে বিস্তারিত শুনে থানায় গিয়ে অভিযোগ করার কথা বলে। গ্রাম বাসীদের এখনও নানা ভাবে বাজার ঘাটে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। গ্রামবাসি সহ হামলার শিকারকারীদের মধ্যে চরমভাবে আতঙ্ক বিরাজ করছে ।
এবিষয়ে অভিযোগের ভিত্তিতে সুষ্ঠু তদন্ত করে জাহাঙ্গীর আলম, পলাশ ও তাদের ক্যাডার বাহিনীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনতে গ্রামবাসী প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানাই।