সুজন রাজশাহী প্রতিনিধি:
রাজশাহীকে আনুষ্ঠানিকভাবে লকডাউন ঘোষণা করে জেলা প্রশাসক মোঃ হামিদুল হক বলেছেন, গত এক সপ্তাহে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ সহ যারা বিভিন্ন এলাকা থেকে রাজশাহীতে ফিরেছেন, তাদের খুঁজে বের করে নমুনা পরীক্ষা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন।
ধারণা করা হচ্ছে, গত এক সপ্তাহে ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান ও মাছবাহী যানবাহনে শতাধিক মানুষ রাজশাহীতে প্রবেশ করেছেন।
রাজশাহীর পুঠিয়া ও বাগমারা উপজেলায় করোনা আক্রান্ত দুই রোগী শনাক্ত হওয়ার পরে আজ মঙ্গলবার (১৪ এপ্রিল) জেলা প্রশাসন রাজশাহী জেলাকে আনুষ্ঠানিকভাবে লকডাউনের ঘোষণা দেয়। আক্রান্ত দুজন ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ থেকে ফিরেছেন।
জেলা প্রশাসক মোঃ হামিদুল হক বলেন, রাজশাহীর পুঠিয়া ও বাগমারার যে দুজন করোনা রোগী শনাক্ত করা হয়েছে, তাদের কোনো উপসর্গ দেখা যায়নি। পরীক্ষা করার পরে জানা যায়, তারা করোনায় আক্রান্ত। যে কারণে গত এক সপ্তাহে যারা রাজশাহীতে ফিরেছেন, তাদের নমুনা পরীক্ষা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সোমবার বিকালে গোয়েন্দা শাখার সদস্যরা ২৪ জনকে আটক করেন। তারা বিভিন্ন জায়গা থেকে রাজশাহী শহরে প্রবেশ করছিলেন।
এর আগে মঙ্গলবার সকালে জেলা প্রশাসক মোঃ হামিদুল হক স্বাক্ষরিত গণবিজ্ঞপ্তিতে মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত রাজশাহী জেলাকে লকডাউন ঘোষণা করা হয়।
গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ইতোমধ্যে রাজশাহী জেলায় ২ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। এছাড়া ঢাকা-নারায়ণঞ্জে করোনা রোগের ব্যাপক প্রার্দুভাব দেখা দিয়েছে। এ কারণে ঢাকা-নারায়ণঞ্জ থেকে বিপুল সংখ্যক মানুষের রাজশাহী জেলায় আগমনের প্রবণতা দেখা দিয়েছে। তৎপ্রেক্ষিতে সিভিল সার্জনের ১৩ এপ্রিলের সুপারিশক্রমে এবং জেলার আইন-শৃংখলা সংক্রান্ত সকল সংস্থার মতামতের ভিত্তিতে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধ করার জন্য মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত রাজশাহী জেলাকে লকডাউন ঘোষণা করা হলো।
গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, লকডাউন চলাকালে এ জেলার সাথে অন্য জেলার প্রবেশ ও বাহির হবার সকল প্রকার রাস্তাঘাট বা অন্য কোনও পথে জেলার কেউ বাইরে যেতে পারবেন না এবং জেলার বাইরে থেকে কেউ জেলার ভেতর প্রবেশ করতে পারবেন না।
সকল ধরণের গণপরিবহন ও জনসমাগম বন্ধ থাকবে। তবে জরুরি পরিসেবা, চিকিৎসা সেবা, কৃষিপণ্য, খাদ্যদ্রব্য সরবরাহ ও সংগ্রহ, বিদ্যৎ, গ্যাস, ফায়ার সার্ভিস, টেলিফোন, ইন্টারনেট, ব্যাংকিং সেবা, মোবাইল ব্যাংকিং, ঔষধ শিল্প সংশ্লিষ্ট যানবাহন ও কর্মী ইত্যাদি এবং সরকার কর্তৃক সময়ে সময়ে ঘোষিত অন্যান্য জরুরি পরিসেবা এর আওতার বাইরে থাকবে।
নির্দেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে গণবিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।