খুলনায় সিয়াম নামে এক এসএসসি পরীক্ষার্থীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। গত রাত পৌনে ৮ টার দিকে নগরীর চাঁনমারী এলাকায় পূর্ব শত্রুতার জরে ধরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে বলে অভিযোগ করনে স্বজনরা। এঘটনায় রাতেই ৪ জনকে আটক করে পুলিশ। উদ্ধার করা হয়েছে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরি।
সন্তান হারিয়ে পাগলপ্রায় মা খাদিজা বেগম। মাত্র কিছু সময়ের ব্যবধানে একমাত্র সন্তান খুলনার রুপসা উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী খলিলুর রহমান সিয়াকে হারিয়ে শোকবিহল গোটা পরিবার।
মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর এক সহপাঠীর সঙ্গে বাড়ির পাশের চায়ের দোকানে যায় সিয়াম। কিছুক্ষণ পরে ফিরে আসবে বলে মাকে জানিয়ে যায়। বাড়ি ফেরে লাশ হয়ে।
সিয়ামের মা খাদিজা বেগম বলেন, ‘আমার নিরীহ ছেলেটা এই বছর ম্যাট্রিক পরীক্ষা দেবে। কিভাবে এই শোক ভুলে থাকবো। বইগুলো সব সামনে ফেলানো।’
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সন্ধ্যার পর এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ী নুর আজিম ও সুমন বাহিনীর সদস্যরা ফোনে সিয়ামকে ডেকে নিয়ে যায়। ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে তুচ্ছ ঘটনার জের ধরে চাঁনমারি এলাকার বালুর মাঠের পাশের সড়কে সিয়াম ও তার বন্ধুদের ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আহত করা হয়।
পরে খবর পেয়ে সিয়ামের মা স্থানীয়দের সহযোগিতায় ছেলেকে উদ্ধার করে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেন। সেখানে তাকে মৃত ঘোষণা করে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন ‘খ্রিষ্টান পাড়ার নূর আজিমের ছেলেপেলেরা ওরা এই গুলোরে লিড দেয়। মাঠে খেলতে যায় এই কারণে নয়ন ফয়সাল আমার ভাই সিয়ামকে মারছে। সবাইকে তাড়া দিছে এলোপাতাড়ি কোপ শুরু করছে। আমি কোনোভাবে দৌড় দিয়ে চলে গেছি। আর আমার ভাইকে ধরে রাখছে ওই জায়গায়।
এলাকাবাসী বলেন, ‘মারামারি করছে ওদের দুজনকেই আমি চিনি। ওদের নাম রাব্বি আর রাসেল। এই ঘটনায় যদি কঠোর শাস্তি দেওয়া হয় তাহলে এই জাতীয় অপরাধ কমবে।
এলাকাবাসী জানায়, চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ী নুর আজিম ও সুমন বাহিনী এর আগেও একাধিক হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটিয়েছে।
এই ঘটনায় দোষীদের গ্রেফতার ও শাস্তির দাবি করছেনে এলাকাবাসী।